ঢাকা: ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকেই তো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর তারকাখ্যাতির শুরু। নিজেকে বিশ্বসেরাদের কাতারে নিয়ে যাওয়ার পেছনে ইংলিশ জায়ান্টদের অবদানের কথা আজীবনই স্মরণ করবেন রোনালদো।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘দ্য টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক ক্লাবের পাশাপাশি পুরনো সতীর্থদেরও স্মরণ করেন রোনালদো। বিশেষ করে, নিজের খেলার উন্নতিতে পল স্কোলস, রায়ান গিগস ও গ্যারি নেভিলের অবদানের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন সিআর সেভেন।
রোনালদো বলেন, ‘ম্যানইউ অধ্যায়টা আমার জন্য বিরাট শিক্ষা ছিল। এ ক্লাবের জন্যই আমি আজকের রোনালদো। ওল্ড ট্রাফোর্ডে পল স্কোলস, গ্যারি নেভিল ও রায়ান গিগসের কাছ থেকে সব সময়ই সহায়তা পেতাম। স্কোলস আর নেভিল তো অনুশীলন শুরুর এক ঘণ্টা আগেই চলে আসতেন। নেভিল ছিলেন আমার দেখা সেরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমিও তাদের অনুসরণ করে অনেক উন্নতি করি। যা আমার ক্যারিয়ারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ’
সাবেক কোচ স্যার অ্যালেক্স ফাগুসন প্রসঙ্গে রোনালদোর ভাষ্য, ‘ফাগুসনের কাছ থেকে আমি অনেক কিছুই শিখেছি। তার অধীনে থাকার স্মৃতিগুলো কখনোই ভুলব না। কোচ হিসেবে তো বটেই, মানুষ হিসেবেও তিনি তুলনাহীন। ফার্গির সঙ্গে আমার এখনো যোগযোগ হয়। ’
২০০৩ সালে মাত্র আঠার বছর বয়সে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ডে পাড়ি জমান রোনালদো। ফার্গুসনের অধীনে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যান পর্তুগিজ তারকা। রেড ডেভিলসদের হয়ে ছয় মৌসুমে তিনি বিশ্বসেরাদের একজন হয়ে ওঠেন। ২০০৮ সালে জেতেন বর্ষসেরার পুরস্কার ব্যালন ডি’অর। পরের বছরই তাকে দলে ভেড়ায় স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ।
এরপর তো সবই ইতিহাস। গ্যালাকটিকোদের হয়ে প্রতি মৌসুমেই যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। তবে এক সময় হয়তো ওল্ড ট্রাফোর্ডে ফিরবেন রোনালদো। ইংলিশ লিগ থেকেই ক্যারিয়ারের ইতি টানতে পারেন। সম্প্রতি এমন গুঞ্জনই বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে। তাছাড়া বয়সটাও ৩০-এর ঘরে। তাই নিকট ভবিষ্যতে এমনটি ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৫
আরএম