ঢাকা: ‘অন্তত রিয়াল মাদ্রিদের মতো তো চার গোল খাইনি’- উক্তিটি করেছেন গুয়াংজু এভারগ্রান্ডের কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারি। স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনার বিপক্ষে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে হেরে যাবার পর ব্রাজিলের সাবেক এ কোচ এমন মন্তব্য করেন।
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে না পারায় হতাশ নন স্কলারি। কারণ যোগ্য দলের বিপক্ষেই হেরেছে তার শিষ্যরা, এমনটি মনে করেন তিনি। গত জুনে তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ২৫ ম্যাচে এটি গুয়াংজু এভারগ্রান্ডের প্রথম পরাজয় ছিল।
বিশ্বকাপ জয়ী এ কোচ বলেন, কাতালানদের বিপক্ষে আমাদের পরাজয় ৩-০ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু তাকিয়ে দেখুন অন্য বড় দলগুলোর বিপক্ষে বার্সা যা করে, তার চেয়ে এটি খারাপ কিছু নয়। সম্প্রতি তারা রিয়ালের ঘরের মাঠে ৪-০ গোলের ব্যবধানে জয় নিয়ে ফিরেছে।
কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে স্কলারি বলেন, বার্সার বর্তমান স্কোয়াডের দিকে তাকালে ২০-২৫ জন দুর্দান্ত ফুটবলার চোখে পড়ে। তাদের নেইমার না থাকলে মেসি দলকে একাই টেনে নিয়ে চলে। মেসি না থাকলে নেইমার দলকে উড়িয়ে নেয়। আর সবশেষ ম্যাচেই দেখা গেল আমাদের বিপক্ষে মেসি-নেইমার নেই, তারপরও দল বিপাকে পড়েনি। লুইস সুয়ারেজ হ্যাটট্রিক করে দলকে ফাইনালে তুলেছে।
বর্তমানে মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারকে বলা হয় বিশ্বসেরা আক্রমণভাগ। ‘এমএসএন’ নামে পরিচিত এ ত্রয়ী প্রসঙ্গে স্কলারি বলেন, তারা তিনজন বর্তমান সেরা আক্রমণভাগ তৈরি করলেও ফুটবলের ইতিহাসে এমন আক্রমণভাগ আরও একটি ছিল। ২০০২ সালে ব্রাজিলের আক্রমণভাগের নেতৃত্ব দিতো রোনালদো-রিভালদো-রোনালদিনহো। তারা ব্রাজিলকে যেভাবে টেনে নিয়ে চলেছে তা অসাধারণ।
তবে, কোন ত্রয়ীকে এগিয়ে রাখবেন এমন প্রশ্নের জবাব সরাসরি দেননি স্কলারি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি জানিনা মেসি-সুয়ারেজ-নেইমারকে নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ বেশি ভালো নাকি রোনালদো-রিভালদো-রোনালদিনহোকে নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ বেশি ভালো ছিল। কারণ, তারা প্রত্যেকেই দারুণ সব ফুটবলার। কাদের গুনগত মান ভালো ছিল এটা বলা সত্যিই অনেক কঠিন।
গত বিশ্বকাপে ব্রাজিলের দায়িত্বে থাকা স্কলারি আলাদা করে তার প্রিয় শিষ্য বার্সার নেইমারকে নিয়ে বলেন, গত ৫ বছরে নেইমার তার খেলায় অনেক উন্নতি করেছে। বর্তমানে সে বিশ্বসেরা তিনজনের মাঝে একজন। সে যদি এভাবেই চালিয়ে যেতে থাকে একদিন সে এককভাবে বিশ্বসেরা ফুটবলার হতে পারবে। আমি মনে করি অনেক বছর নেইমার বিশ্বসেরা ফুটবলার হিসেবে নিজেকে ধরে রাখবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৭ ঘণ্টা, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর