ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

সাফ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

সিনিয়ন করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
সাফ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

স্পোর্টস ডেস্ক: সাফ ফুটবল থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজলো বাংলাদেশের। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছে ৪-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে ৩-১ গোলে হেরে বিদায় নিলো মারুফুল ইসলামের শিষ্যরা।

সাফ থেকে বাংলাদেশের বিদায়ে নেপথ্যে মালদ্বীপের হয়ে যারা শক্তি যুগিয়েছেন, তাদের নাম আলী আশফাক, নাইজ হাসান ও আহমেদ নাসিদ। বাংলাদেশর বিপক্ষে তাদের গোলগুলো একদিকে যেমন মামুনুলদের সাফের আসর থেকে বিদায় করে দিয়েছে, তেমনি মালদ্বীপকে নিয়ে গেছে সেমিফাইনালে।  

এরআগে কেরালার ত্রিবান্দ্রাম স্টেডিয়ামে বাঁচা মরার লড়াইয়ে মালদ্বীপের বিপক্ষে খেলতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমনাত্নক খেলা খেলতে থাকে লাল-সবুজের দল। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিপক্ষের সীমানায় বেশ কয়েকটি গোছালো আক্রমনও চালিয়েছিলেন কোচ মারুফুলের শিষ্যরা। কিন্তু মালদ্বীপ রক্ষণ ভাগের কারণে মামুনুলদের কোন আক্রমনই শেষ পর্যন্ত গোলের মুখ দেখেনি।

বাংলাদেশ যখন এমন এক একটি আক্রমন করে ক্লান্ত, তখন ৪১ মিনিটে মাঝ মাঠ থেকে দারুণ একটি আক্রমন সাজিয়ে বাংলাদেশ সীমানায় মালদ্বীপ বল নিয়ে গেলে সেখানে প্রতিরোধ গড়ার চেস্টা করেন বাংলাদেশের ওয়ালী ফয়সাল। কিন্তু তার প্রতিরোধকে রেফারি ফাউল ডাকলে পেনাল্টি পায় মালদ্বীপ। ৪৩ মিনিটে সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ১-০ তে এগিয়ে দেন অধিনায়ক আলী আশফাক।

নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ খেলায় ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের আক্রমণ ভাগকে আরও শান দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মালদ্বীপ সীমানায়।

এমনই এক আক্রমণ সাঁজিয়ে ৮৬ মিনিটে মালদ্বীপ জালে বল জড়ান হেমন্ত ভিনসেন্ট আর দলকে এনে দেন ১-১ এর সমতা। তবে সমতায় থাকটা ঠিক যেন মেনে নিতে পারছিলোনা মালদ্বীপ।

তাই খেলার শেষ মিনিটে বাংলাদেশ সমীনায় এক ডিফেন্স চেরা আক্রমণ চালিয়ে হাসান বাংলাদেশ জালে বল জড়িয়ে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে এগিয়ে দিলে উল্লাসের ‍উপলক্ষ্য আসে মালদ্বীপ শিবিরে। এরপর আবার ৯৫ মিনিটে বাংলাদেশ সীমানায় আক্রমণ চালান মালদ্বীপের আহমেদ নাসিদ। তার সেই নিখুঁত আক্রমণে ৩-১ গোলে পিছিয়ে সাফ থেকে বিদায়ের কষ্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।