ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

পর্যটনের বিকাশে দুর্গা সাগর ও সোনা মসজিদের উন্নয়ন

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
পর্যটনের বিকাশে দুর্গা সাগর ও সোনা মসজিদের উন্নয়ন ছবি: সংগৃহীত, দুর্গা সাগর ও সোনা মসজিদ

ঢাকা: পর্যটনের বিকাশে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জের দুর্গা সাগর দিঘি ঘিরে উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড হাতে নেওয়া হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা‍ মসজিদ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত পর্যটন মোটেলের মেরামত ও সংস্কার করা হবে।

দেশি-বিদেশি পর্যটকদের টানতে এলাকা দু’টিতে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

এদিকে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের (বাপক) আপগ্রেডেশন অব ন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড ট্যুরিজম ট্রেইনিং ইনস্টিটিউটেরও (এনইজটিটিআই)  সংস্কার করবে মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, আলাদাভাবে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ এ উন্নয়ন কাজ করা হবে। এ লক্ষ্যে এনএইচটিটিআই’র উন্নয়নে ৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, দুর্গা সাগরের উন্নয়নে ৪ কোটি ৩৩ লাখ টাকা এবং সোনা মসজিদ সংস্কারে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। ২০১৮ সালের জুনের মধ্যেই গৃহীত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবে মন্ত্রণালয়।
 
কাজগুলোর আওতায় এসব এলাকায় দেশি-বিদেশি পর্যটকদের পায়ে হাঁটার পথ, টয়লেট, মোটেল, রেস্টুরেন্ট ও সড়কসহ নানা অবকাঠামোর উন্নয়ন করা হবে।
 
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও পর্যটন উইং) মো. রফিকুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, ‘দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে যা যা করার দরকার তাই করবো। সড়ক, টয়লেট, রেস্টুরেন্ট ও মোটেল নির্মাণ করা হবে দুর্গা সাগর এলাকায়। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থেও অবকাঠামোর উন্নয়ন করবো’।
 
তিনি আরও বলেন, ‘সোনা মসজিদ আমাদের পুরনো ঐতিহ্য, এর সংস্কার করা জরুরি। এখানে একটি মোটেল ছিল, আগুনে পুড়ে গেছে। মোটেলটির সংস্কার ছাড়াও ও রেস্টুরেন্ট নির্মাণ করবো’।
 

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মসজিদটি দর্শনীয় একটি স্থান। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শত শত বছরের পুরনো এই সোনা মসজিদসহ অন্য মসজিদগুলোর অপূর্ব কারুকাজ দেখে যে কেউ মুগ্ধ হবেন। তবে এগুলোর চারপাশের অবকাঠামোগত কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। যে কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ভ্রমণ এবং দেশের ঐতিহ্যবাহী সোনা মসজিদ দেখতে এসে বিপাকে পড়েন পর্যটকেরা।
 
বরিশালের মাধবপাশার নয়নাভিরাম দুর্গাসাগর দিঘিও বাংলাদেশের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। তবে সংযোগ সড়ক ও মোটেল না থাকায় এ পর্যটনকেন্দ্র থেকেও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

দুর্গা সাগর দিঘিটি ৪৫ একর ৪২ শতাংশ জমিতে অবস্থিত। এর ২৭ একর ৩৮ শতাংশ জলাশয় এবং ১৮ একর ৪ শতাংশ পাড়। পাড়টি উওর-দক্ষিণে ১ হাজার ৪৯০ ফুট লম্বা এবং পূর্ব পশ্চিমে ১৩৬০ ফুট প্রশস্ত।

প্রতি শীত মৌসুমের শুরুতে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে সরাইল ও বালি হাঁসসহ নানা প্রজাতির পাখি এসে দিঘির মাঝখানের ঢিবিতে আশ্রয় নেয়। এটি সংস্কার করলে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনেরও বেহালদশা। এটির সংস্কার করা না হলেও ব্যহত হবে পর্যটনের বিকাশ।

বাংলাদেশ সময়: ১০১০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০১৬
এমআইএস/এএসআর

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।