ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

চায়ের শহরে ‘টি হ্যাভেন’

আসাদ জামান, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
চায়ের শহরে ‘টি হ্যাভেন’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শ্রীমঙ্গল থেকে: ভ্রমণ পিয়াসী মানুষের ভ্রমণক্লান্তি দূর করার জন্য যতগুলো ‘অনুষঙ্গ’ আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো- পর্যটন এলাকার হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউস, রিসোর্ট, ডাকবাংলো অথবা সার্কিট হাউস।  
 
চোখ ও মনের খোরাক মেটাতে আপনি ভ্রমণে বেরিয়ে পড়লেন।

সারাদিন ভ্রমণ করলেন। পরের দিন আবারও নতুন জায়গায় ভ্রমণের পরিকল্পনা আঁটলেন। কিন্তু রাতের ঘুম স্বস্তিদায়ক হলো না। খাবার হলো না স্বাস্থ্য সম্মত।  
 
থাকার জায়গায় পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের অভাব। জানালা খুলে দেখতে চাইলেন খোলা নীল আকাশ। কিন্তু আপনার দৃষ্টি আটকে গেল উঁচু ভবনের কংক্রিটের দেওয়ালে।

অথবা হোটেলের কোল ঘেষে থাকা ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘর এবং এর বাসিন্দাদের নিদারুন জীবনযাপন আপনার কোমল হৃদয়ে ক্ষতের সৃষ্টি করল। ভ্রমণানন্দের সঙ্গে যোগ হলো বিষাদানুভূতি।

কিন্তু চায়ের শহর শ্রীমঙ্গলে এসে একবার যদি টি-হ্যাভেন রিসোর্টে অতিথি হতে পারেন-তাহলে আপনাকে এ ঝামেলায় পড়তে হবে না।  
শ্রীমঙ্গল শহরে ঢোকার মুখে হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার মহাসড়কের পাশে নির্মিত টি হ্যাভেন রিসোর্টের সম্পূর্ণ ঝামেলামুক্ত ছিমছাম পরিবেশ আপানাকে দেবে অনাবিল আনন্দ।
 
নবনির্মিত এ রিসোর্টের অতিথিরা জানালা খুললেই দেখতে পাবেন খোলা নীল আকাশ। চারদিক ফাঁকা টি হ্যাভেন রিসোর্টের যে কোনো কক্ষ থেকেই শ্রীমঙ্গলের নয়নাভিরাম দৃশ্য অবলোকন করার সুযোগ রয়েছে। হাইল হাওরের দিগন্ত বিস্তৃত পানি, টিলার খাজে খাজে পিরামিড সদৃশ্য চা বাগান আর সবুজের সমারোহ দেখার অপূর্ব সুযোগ টি হ্যাভেন থেকেই পাওয়া যাবে।  
 
আর বাইক্কা বিলসহ দূরের স্পটগুলো দেখতে চাইলেও চিন্তার কোনো কারণ নেই। টি-হ্যাভেন রিসোর্টের রয়েছে ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস। স্বল্প খরচে আপনাকে শ্রীমঙ্গলের বিভিন্ন স্পটে ঘুরিয়ে নিয়ে আসবে তারা।  
 
শুধু কী ট্রেডিশনাল সেবা? টি হ্যাভেনের কর্মকর্তা, কর্মচারী তো বটেই, এর মালিকপক্ষ বা উদ্যোক্তাদের ব্যবহারে আপনাকে মুগ্ধ হতেই হবে।  
 
নিরাপত্তাকর্মী, অভ্যর্থনা কর্মকর্তা, ইনচার্জ, ম্যানেজার, ডিরেক্টর-সবাই আপনাকে আপনজনের মতই গ্রহণ করবেন। একদিনের সম্পর্কেই মনে হবে কত যুগের যেন চেনা। ব্যবসায়ী সম্পর্কের বাইরেও একটা আত্মিক সম্পর্ক তৈরির ব্যাপারে অত্যন্ত যত্নবান টি হ্যাভেনের প্রত্যেকটা মানুষ।  
 
তাই তো যাত্রা শুরুর আট মাসের মাথায় টি হ্যাভেন পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত পছন্দের রিসোর্ট হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। পর্যটন মৌসুম শুরুর আগেই টি হ্যাভেনের প্রতিটি কক্ষ পরিপূর্ণ থাকছে অতিথি দিয়ে।  
 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টি হ্যাভেন নিয়ে আরো বিস্তৃত পরিকল্পনা আছে এর উদ্যোক্ততাদের। পাশের খোলা জায়াগায় পর্যটকদের জন্য সুইমিংপুল, মিনি চিরিয়াখানা, গার্ডেন, লোকজ ভেন্যু করার চিন্তা করছেন তারা।  
 
টি হ্যাভেন রিসোর্টের অন্যতম পরিচালক আবু সিদ্দিক মো. মুসা বাংলানিজকে বলেন, শুধু ব্যবসা নয়, শ্রীমঙ্গল তথা বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে সমৃদ্ধ করার জন্য আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। স্বল্প লাভে কাস্টমারদের ভাল সেবা দেওয়ার মনমানসিকতা থেকেই হাইওয়ের পাশে টি হ্যাভেন রিসোর্ট করা হয়েছে। এ রিসোর্টের প্রত্যেকটা কর্মীকে নির্দেশ দেওয়া আছে-দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সঙ্গে যেন সর্বোচ্চ ভাল ব্যবহার করার।
 
বাংলাদেশ সময়: ০৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৬
এজেড/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।