ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

গেনটিং হাইল্যান্ডে একদিন 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
গেনটিং হাইল্যান্ডে একদিন 

মালয়েশিয়া থেকে: ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের প্লেনে থাকতেই যখন মালয়েশিয়ার অবকাঠামোগত সাজ-সজ্জা বোঝা যাচ্ছিলো, তখনই বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো আসা ভ্রামণিকদের চোখ প্রায় কপালে উঠে যায়। এতো সাজানো-গোছানো! মালয়েশিয়ার মাটিতে পা রাখতেই কেবল মুগ্ধতা প্রকাশ পাচ্ছিলো, ‘সদিচ্ছা থাকলে কী সুন্দর করে সাজানো যায় দেশকে’।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট পরিচালনাসহ যাবতীয় কার্যক্রমের ধারণা নিতে প্রতিষ্ঠানটিরই আমন্ত্রণে মালয়েশিয়ায় এসেছেন বাংলাদেশের ৫৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল, যেখানে একদল সাংবাদিকও রয়েছেন। ১৫ নভেম্বর ড. মাহাথির মোহাম্মদের দেশে পৌঁছানোর পর দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ও রাজধানী কুয়ালালামপুরের ফেডারেল হোটেলে ওঠেন প্রতিনিধিরা।

ঘোষণা অনুযায়ী, পরদিন ১৬ নভেম্বর সকালে সেই দল যাত্রা করে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫ হাজার ফুট উঁচু পর্যটন স্পট গেনটিং হাইল্যান্ডে। উঁচু-নিচু পাহাড়ি পিচঢালা সড়ক ধরে গাড়ি যতো এগোয়, ততো যেন মুগ্ধতা মোহে ডুবিয়ে দেয়। সবুজ পাহাড়-অরণ্যের বুক চিরে যেন বহমান নদীর মতো এঁকে বেঁকে বয়ে চলে গেছে এই সড়ক।

ক্যাবল কার থেকে নিচের সড়ক।  ছবি: বাংলানিউজসঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এক গাইড। নাম এন্ডিউ। পুরো যাত্রায় রসাত্মক কথাবার্তায় সবাইকে মাতিয়ে রাখছিলেন তিনি। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশিদের সম্পর্কে ধারণা জানতে চাইলে এন্ডিউ জানান, এই প্রথম কোনো বাংলাদেশি ট্যুরে গাইড করছেন। তাই ভালো লাগছে। শুধু বাংলাদেশের চট্টগ্রামকে তিনি চেনেন।

একঘণ্টার যাত্রা শেষে স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় গাড়ি পৌঁছে হাইল্যান্ডের বেজমেন্টে। সেখানে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ ও মার্কেটিং) কামরুল ইসলাম হাইল্যান্ডের ক্যাবল কার রাইড উপভোগের টিকিট কেটে রেখেছিলেন আগে থেকেই।

এই ক্যাবল কার পাহাড়ের উঁচু থেকে নিচুতে নামে, আবার নিচু প্রান্ত থেকে ওপরে উঠে যায়। কার থেকে উপভোগ করা যায় পাহাড়ের মাথায় মেঘের ভেলার খেলা। সন্ধ্যে বেলায় এই কারে চড়লে নিচের দিকে তাকিয়ে কারও ভয়ও পেতে হতে পারে। কারণ মেঘে ঢাকা পাহাড়ের সবুজ বন তখন কেবল ভৌতিক সিনেমার অন্ধকার জগত মনে হয়।  

উঁচু-নিচু পাহাড় আর অরণ্যের বুকে কী সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে- এমন ঈর্ষার আক্ষেপও ঝরলো অনেকের মুখে।

গেনটিং হাইল্যান্ডের উপভোগ্য রাইড ক্যাবল কার।  ছবি: বাংলানিউজএই আনন্দঘন সময় কাটানোর পর ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের গুণগত মান, নিরাপত্তা, যাত্রীসেবার বিষয়ে ধারণা দেন এয়ারলাইন্সটির জিএম কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, অতি অল্প সময়ে বাংলাদেশি ও অন্য দেশের যাত্রীদের মন জয় করে নিয়েছে এয়ারলাইন্সটি। অার সেটা সম্ভব হয়েছে সেবার মানের কারণে। সর্বাধুনিক ও সর্বশেষ প্রযুক্তির প্লেনগুলো এই বহরে যুক্ত করা হচ্ছে। রুটও বাড়ানো হচ্ছে। অাশা করি, অতীতের মতো অাগামীতেও যাত্রীরা পাশে থাকবেন।

এরপর একটি রেস্টুরেন্টে মালয় খাবার উপভোগ করেন সবাই। কারও কারও জন্য প্রথম এ ধরনের খাবার হলেও তৃপ্তির ঢেঁকুর ছিল সবারই।

গেনটিং হাইল্যান্ড থেকে বিকেলে বাতুকেভে গিয়ে প্রতিনিধি দলটি পরিদর্শন করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুরনো এক উপাসনালয়। সেখানে পাহাড়ের পাদদেশে ২৭২টি সিঁড়ি বেয়ে উঠে গুহাও দেখেন অনেকে। দিনভর নানা দর্শনীয় স্থানের অভিজ্ঞতা ভারী করে রাতে হোটেলের পথ ধরেন সবাই।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৮
টিএম/এইচএ/

** যেখানে অনন্য ইউএস-বাংলা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।