বিগত কয়েক দিন ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয় এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান হা লং শহর ঘুরে এমনই চিত্রই দেখা যায়। পর্যটকেরা এখানে খুব সহজেই ভাড়া নিতে পারেন মোটরবাইক।
ভিয়েতনামের সুপ্রশস্ত সড়ক, ফাঁকা রাস্তা এবং আশপাশের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য, এসব কিছু লোভ জাগাবে যেকোনো বাইকারের মাঝেই। বাইকারদের সেই শখ পূরণ করবে এখানকার পুলিশের ইংরেজি অজ্ঞতা। অবশ্য বলা ভালো, এ দেশের অধিকাংশ নাগরিকেরই ইংরেজি ভাষায় দখল নেই।
হা লং শহরের স্থানীয় বাসিন্দা মিস্টার মিনের আছে ৪০টি মোটরবাইক। প্রতিদিন দেড় লাখ ভিয়েতনামী ডং বা প্রায় ৫৫০ টাকার বিনিময়ে পর্যটকদের কাছে বাইক ভাড়া দেন মিন।
আমরাও বাইক ভাড়া নিলাম। কিন্তু বিপত্তি মনে হল এই ভেবে যে, সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্স (নিজ দেশের) নেই। আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স তো আরও পরের ব্যাপার। অভয় দিয়ে মিন বললেন, ভয় নেই; পুলিশ আটকাবে না।
ভ্রু কুঁচকে জানতে চাইলাম, কেন? মিনের সোজাসাপ্টা উত্তর, আপনাকে থামিয়ে যে ড্রাইভিং লাইসেন্স চাইবে, সেটা কীভাবে? এখানকার ট্রাফিক পুলিশেরা ইংরেজি বোঝেও না, বলতেও পারে না। আর সরকারের স্পষ্ট নির্দেশনা আছে যে, পর্যটকদের যেন কোনো ধরনের অসুবিধা না হয় এখানে।
মিনের কথায় কিছুটা ভরসা করে ইয়ামাহা অটো গিয়ার স্কুটি নিয়ে প্রায় চার দিন বাইক চালালেও থামায়নি কোনো পুলিশ বা ট্রাফিক পুলিশ। অবশ্য পুরো হা লং শহরে চার দিনে পুলিশ চোখেও পড়েছে মাত্র তিন জন।
মিনকে দোভাষী বানিয়ে কথা বললাম এক ট্রাফিক পুলিশের সঙ্গে। আই মুয়া তই খং নামে এই পুলিশ সদস্য বললেন, পর্যটক চালকদের আমরা থামাই না। একবার ভুল করে স্থানীয় মনে করে কোরিয়ান পর্যটকদের থামিয়ে ছিলাম। ১০ মিনিট কথা বলেও কিছু বুঝিনি, বুঝাতেও পারিনি। তাই আর থামাই না। আপনারাও ঘুরুন। কেউ থামাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০১৯
এসএইচএস/এসএ