মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দেরিতে হলেও শুরু হয়েছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। তবে বরাবরের মতো এবারও সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকের মুখে পড়তে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের।
তাই এ মেলা কতটা সাংবাদিকবান্ধব তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে কর্তৃপক্ষের দাবি, ‘মেলা সাংবাদিকবান্ধব’। সংবাদ সংগ্রহে সংবাদকর্মীদের সর্বাত্মক সহায়তা দিতে নাকি প্রস্তুত তারা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মেলাপ্রাঙ্গণে মিডিয়াকর্মীদের জন্য নেই কোনও মিডিয়া সেন্টার বা তথ্য পাওয়ার সুব্যবস্থা। নেই গাড়ি পার্কিংয়ের কোনও সুবিধা।
এছাড়া সাংবাদিকরা তাদের আইডি কার্ড দিয়ে মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করবেন, নাকি তাদের জন্য বিশেষ কার্ডের ব্যবস্থা করা হবে সে বিষয়েও সুস্পষ্ট কোনও নির্দেশনা নেই বা দেওয়া হয় নি।
এ পরিস্থিতিতে সংবাদ সংগ্রহের জন্য নানা প্রতিবন্ধকের মুখে পড়তে হচ্ছে সংবাদকর্মীদের। অথচ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) কর্মকর্তাদের কাছের লোক বা পরিচিতজনেরা সহজেই সুযোগ পাচ্ছেন মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশের। ক্ষেত্র বিশেষে তাদের বিশেষ কার্ডও(পাস) দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মেলাপ্রাঙ্গণে দায়িত্বরত ইপিবি’র সদস্যসচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ বাংলানিউজকে বলেন, ‘সাংবাদিকরা কার্ড দেখিয়েই মেলাপ্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে পারেন। এছাড়া প্রতি হাউজ থেকে মোট দুইজনকে বিশেষ কার্ড দেওয়া হচ্ছে। ’
সাংবাদিকদের গাড়ি পার্কিংয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, যার গাড়ি সে নিজ দায়িত্বে রাখবে। সংবাদকর্মীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য কোনও বিশেষ বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে ভিআইপিদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মন্ত্রী, সচিব ও উপসচিব পদমর্যাদার ব্যক্তিরা গাড়ি পার্কিংয়ের সুবিধা পাবেন।
এ সময় তিনি মেলা ‘সাংবাদিকবান্ধব’ দাবি করে বলেন, ‘মেলা সংবাদিকবান্ধব। সংবাদ সংগ্রহে সংবাদকর্মীদের সর্বাত্মক সহায়তা দিতে প্রস্তুত আমরা। সাংবাদিকদের গাড়ি পার্কিংয়ের সমস্যার যাতে সমাধান হয় সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
তবে কতদিনের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
মেলায় মিডিয়া সেন্টারের বিষয়ে বিকর্ণ কুমার ঘোষ বলেন, ‘সাংবাদিকদের জন্য আলাদা মিডিয়া সেন্টারের ব্যবস্থা রাখা হয় নি। তবে তারা তথ্যকেন্দ্রে গিয়ে তাদের কাজ মেটাতে পারবেন। সেখানে তারা গিয়ে বসতে পারবেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০১৪
এএসএস/এসএনএইচ/জেএম