ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

নীলাচলের চূড়ায় মিলবে পানি

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪
নীলাচলের চূড়ায় মিলবে পানি ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বান্দরবান: বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র নীলাচলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে নীলাচল চূড়ায় এ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।



প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বান্দরবানের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবু জাফর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) ইশরাত জামান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) হুসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ, সহকারী কমিশনার ইকতেখারুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মামুন, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মো. মজিবর রহমান, বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুছ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী আবদুল বাতেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনজেল হোসেন প্রমুখ।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সোহরাব হোসেন জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বান্দরবান শহর ও এর আশপাশের এলাকাগুলোতে পানির চাহিদা পূরণে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় সোয়া ২ কোটি টাকা ব্যয়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত নীলাচল চূড়ায় পানি সরবরাহ প্রকল্প স্থাপনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

শিগগিরই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে আশপাশের গ্রামের আদিবাসী মানুষ পানির সুবিধা ভোগ করবেন, তাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। তাছাড়া এ পর্যটন কেন্দ্রে আগত পর্যটকদের পানির চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।

এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অনন্য সুন্দর নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রে পানি সরবরাহ প্রকল্প স্থাপনের মাধ্যমে আশপাশের দুর্গম পাড়াগুলোর পানির সমস্যা দূর হবে। দীর্ঘদিন ধরে এখানকার লোকজন প্রায় কয়েক কিলোমিটার দূরের ঝিরি থেকে পানি এনে ব্যবহার করতেন। এখন তাদের পানির চাহিদা পূরণসহ নীলাচলে আগত পর্যটকরা পানির সুবিধা ভোগ করবেন।

দুর্গম এলাকার মানুষ ও এখানে আসা পর্যটকদের পানির চাহিদা মেটাতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দ্রুত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেন প্রতিমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।