ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

ট্রাভেলার্স নোটবুক

তামাবিল থেকে হেঁটে ১৪ দিনে সাতক্ষীরায় সেতু দাস

সাব্বির আহমেদ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৯ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
তামাবিল থেকে হেঁটে ১৪ দিনে সাতক্ষীরায় সেতু দাস ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পায়ে হেঁটে সারা বাংলাদেশ ঘুরতে বের হওয়া সেতু দাস পৌঁছে গেছেন সাতক্ষীরা। এ পর্যন্ত পাড়ি দিয়েছেন সাড়ে ৫শ’ কিলোমিটার পথ।

তবে পথ আরও বাকি। প্রথম ধাপে সিলেট থেকে সাতক্ষীরায় পৌঁছলেও আরও তিন ধাপে পুরো বাংলাদেশ পায়ে হেঁটে ঘুরে আসবেন সেতু। সে লক্ষ্যে সিলেটের সীমান্ত তামাবিল জিরো পয়েন্ট থেকে সাতক্ষীরা সীমান্তে এখন তিনি।

যাত্রা পথে আড়ইশ’ চা স্টল ও ভাসমান হোটেল রেস্তোরায় ঢুঁ মেরেছেন পরিচ্ছন্নতার স্লোগান নিয়ে। পরিচ্ছন্ন খাবার পরিবেশনা আর পথে পথে বাংলাদেশের সৌন্দর্য তুলে ধরতে সেতু দাসের পায়ে হাঁটা শুরু হয় দেশের অন্যতম পযটন আকর্ষণ সিলেট অঞ্চল থেকে।
 
সেতুর ‘ক্রস কান্ট্রি এক্সপেডিশন বাই ফুট’ শিরোনামে পায়ে হেঁটে দেশ পরিভ্রমণের আয়োজক পর্যটন প্রতিষ্ঠান ‘বেড়াই বাংলাদেশ’। এ খাতের আরেকটি প্রতিষ্ঠান ‘ভ্রমণ লিমিটেড’ পায়ে হাঁটা পরিভ্রমণের সব খরচ বহন করছে।

পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা সেতু দাস পড়ালেখা করেছেন সরকারি কবি নজরুল কলেজ থেকে। কাজ করেন পর্যটন নিয়ে। ব্যক্তিগত জীবনে অবিবাহিত ‘সেতু এক্সট্রিম ট্রেকার অব বাংলাদেশ’ নামে ফেসবুকভিত্তিক গ্রুপের অ্যাডমিন।
 
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) রাতে হাঁটার ১৩তম দিনে যখন সেতু দাস বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলছেন তখন তিনি গন্তব্যের প্রায় দ্বারপ্রান্তে চলে গেছেন।

সেতু বলেন, আমি সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্ত এলাকা থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে।   ভোর সাড়ে ৪টায় হাঁটা শুরু করে দুপুরে চুকনগর হয়ে চলে এসেছি পাটকেলঘাটা সাতক্ষীরা এলাকায়।

সেতু দাস যখন হাঁটা শুরু করেন তখন সিলেটের শীতল সিগ্ধ আবহাওয়া তেমন বেগ পেতে হয়নি। তবে সিলেট ছেড়ে ঢাকার পথ ধরতেই তীব্র গরম। এরপর ঝড়-তুফান পেরিয়ে পদ্মা পাড়ি দিয়ে ১৪তম দিনে পৌঁছলেন সাতক্ষীরা।

দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা থেকে কক্সবাজারের শাহপরীর দ্বীপের পথে ছুটবেন তিনি। তৃতীয় ধাপে মেহেরপুর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ও শেষ ধাপে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা থেকে শেরপুরের বাবুমারি যাবেন সেতু।
 
সেতু জানান, হাঁটতে হাঁটতে তার বাম পায়ের গোড়ালির উল্টো দিকের রগ ফুলে গেছে। হাঁটলেই ব্যাথা হচ্ছে। এছাড়া যেখানে গিয়ে দিনের হাঁটা শেষ হচ্ছে সেখানেও থাকা নিয়ে ভাবনায় পড়ছেন।
 
হোটেলে অপরিচ্ছন্নতার জন্য দুই বিদেশি পর্যটকের বাংলাদেশে ছেড়ে যাওয়ার পর এই ব্যতিক্রমী ক্যাম্পেইন শুরুর উদ্যোগ নেন বেড়াই বাংলাদেশ-এর প্রধান মাহমুদ হাসান খান। তারই প্রচেষ্টায় হাঁটতে নামেন সেতু দাস। বিদেশিদের অভিযোগ ছিলো, হোটেল বয়ের নখে ময়লা আর খাবার প্লেট নোংরা পানি দিয়ে ধোঁয়া হয়।

মাহমুদ হাসান খান বাংলাদেশে বিদেশিদের নিয়ে আসেন তার ‘ট্রিপ টু বাংলাদেশ’ নামের একটি ট্রাভেল প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এরপর বাংলাদেশে ট্রিপ প্লান করে দেন তিনি। ১৫ বছরে ১০ হাজারের বেশি বিদেশিকে এভাবে বাংলাদেশ ঘুরে দেখিয়েছেন তিনি। পরিচ্ছন্নতা নিয়ে বিদেশিদের অভিযোগ শুনে এমন উদ্যোগ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৬ ঘণ্টা, মে ২০, ২০১৬
এসএ/জিসিপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।