ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

মাত্র ১২ দিনে ইউরোপ ভ্রমণ!

জিয়াউল হক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
মাত্র ১২ দিনে ইউরোপ ভ্রমণ! শার্লটেনবার্গ প্রাসাদ ও ইতালির সৈকতে লেখক

শিরোনাম দেখে পাঠক হয়তো ভাবতে পারেন, কোনো বিজ্ঞাপন! কিন্তু না। আসলে মাত্র ১২ দিনে ঘুরে এলাম এস্তোনিয়া, জার্মানি, লাতভিয়া, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি এবং ভ্যাটিকান।

মনে হচ্ছে অল্প সময়ে একটা অসাধ্য সাধন করলাম!

এই দীর্ঘ যাত্রায় সম্ভবত জাহাজ বাদে বাকি সব ধরনের যানবাহনে চড়া হয়েছে। এতে আমার সফরসঙ্গী ছিলেন ইরফান ভাই।  

যাত্রার শুরু হয় টারকিশ এয়ারে চড়ে ইস্তাম্বুল হয়ে তালিনে। তালিনে জেসিআই (জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল)-এর ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসের জন্য যাওয়া। ১৩০ দেশ থেকে আসা কয়েক হাজার মানুষকে নিয়ে এই আয়োজন।

প্লেনের নিয়ন্ত্রিত তাপমাত্রা থেকে বের হতেই দাঁত কামড়ে ধরলো তালিনের ভয়ংকর শীত। মাইনাস ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা। ইস্তাম্বুলের বিশাল এয়ারপোর্ট থেকে তালিনের ছোট এয়ারপোর্টে এসে একটু অবাকই হলাম। উইকিপিডিয়াতে থেকে জেনেছিলাম মাত্র সাড়ে চার লাখ মানুষের শহর তালিন। তাই বলে এতো ছোট এয়ারপোর্ট হবে তা ভাবিনি। ছোট হলেও সব কিছু ছিমছাম, সাজানো-গোছানো।  

এয়ারপোর্ট থেকে ম্যাপ দেখে উবার চালক আমাদের নিয়ে গেলেন হেস্টিয়া হোটেল মায়েস্ট্রোতে (Hestia Hotel Maestro)।  

হোটেল সংলগ্ন এলাকার নাম ওল্ড তালিন, আমাদের যেমন পুরনো ঢাকা। ছোট ছোট ৩ থেকে ৪ তলার বিল্ডিং সব। এখানকার আশেপাশের জায়গাগুলোতে প্রচুর মানুষ। হোটেলে লাগেজ রেখে ফ্রেশ হয়ে বের হলাম শহর ভ্রমণে।  


প্যারিসের পার্ক

প্রথমে গেলার ‘ভাবদুসে ভালজাকে’ যার ইংরেজি নাম ‘The War of Independence Victory Column’। ১৯১৮-১৯২০ সালের এস্তোনিয়ার স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মরণে এই মিনারটি তৈরি করা হয়। হাঁটাহাঁটি করে একটা দোকানে ঢুকে বার্গার আর কফি খেয়ে ছুটে গেলাম হোটেলে। একে তো বাইরে প্রচুর ঠাণ্ডা আবার ভোরবেলায় বার্লিনের ফ্লাইট! হোটেলে ফিরে ব্যাগ গুছিয়ে ঘুম দিতে দিতেই ওঠার সময় হয়ে গেল।  

লাতভিয়ার রিগা এয়ারপোর্ট থেকে চলে এলাম বার্লিন টেগেল এয়ারপোর্টে। এয়ারপোর্টের বাস সার্ভিসে করে হোটেলের পাশের স্টেশনে নামলাম। হোটেলের নাম মাইনিংগার।  

৫ বছর আগে শেখা জার্মান ভাষা কাজে এলো এবার। হোটেলে গিয়ে চেক-ইন করা গেল না। ইউরোপে বেশিরভাগ হোটেলে চেক-ইনের সময় ৩টা, এশিয়ার হোটেলগুলোর মতো ১টায় নয়। হোটেল থেকে গেলাম ঐতিহাসিক ব্র্যান্ডেনবুরগ গেটে।  

বার্লিনের সব চেয়ে ভালো লাগলো যোগাযোগ ব্যবস্থা। বাস, ট্রাম, এস-বান, উ–বান (এক ধরণের ট্রেন)। এত সুন্দর যোগাযোগ ব্যবস্থা আর কোথাও কখনো দেখিনি!

সেখান থেকে গেলাম বার্লিন ওয়ালে। কিছুক্ষণ ঘুরাঘুরি করে ফের রওনা দিলাম হোটেলের দিকে।  


বৃষ্টির দিনে এমস্টারডাম ক্যানাল রাইড

এরপর কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে রওনা হলাম বার্লিনের আলোচিত ডোনার কাবাব খেতে। এতো সুস্বাদু কাবাব মুখে দিতেই যেন ক্ষুধা আর সব ক্লান্তি হাওয়ায় মিলিয়ে গেল। পরের ৩-৪ ঘণ্টার হাঁটার শক্তি পেয়ে গেলাম! 

সেখান থেকে হেঁটেই রওনা দিলাম চার্লোতেনবুরগ প্যালেসের উদ্দেশ্যে। পৌঁছে বেশ ফাঁকা পেয়ে অবাকই হলাম। বেশকিছু ছবি তুলে ট্রামে করে রওনা হলাম ইস্ট বার্লিনের দিকে।  

ইস্ট বার্লিন আর ওয়েস্ট বার্লিনের পার্থক্য চোখে পড়ার মতো। চাকচিক্য কম, একটু পুরনো পুরনো ভাব। কিন্তু এরপরেও খুব সুন্দর। রাতে ট্রেনে হোটেলে ফিরে সকালে আবার ফ্লাইটে করে পৌঁছলাম লাতভিয়ার রাজধানী রিগাতে। ছোট্ট ছিমছাম শহর। সিটি সেন্টারে গিয়ে সেখানে ‘হাউজ অব ব্ল্যাক হেডস’ নামে এক বিখ্যাত মিউজিয়াম ঘুরে হেস বার্গারে ডিনার সারলাম। এরপর বাসে করে ফের তালিনে।  

এমন জাঁকালো বাস কমই দেখেছি জীবনে। বাসের ভেতরে পার্সোনাল স্ক্রিন, কফি বার, ওয়াশরুম সবই আছে। পরদিন তালিনে রেডিসনে ইভেন্টে জয়েন করলাম। ওপেনিং সিরিমনি হলো সাকু সুরহাল নামের একটা ইনডোর স্টেডিয়ামে।  

পরদিনই সেখান থেকে ফ্লাইটে যাত্রা স্বপ্নের প্যারিসে। ছোটবেলায় এই প্যারিস/পারীকে নিয়ে কত গল্পই না পড়েছিলাম। এয়ারপোর্টের ভেতরেই ট্রেন স্টেশন। আমাদের হোটেল গারু দে নর্ড নামের স্টেশনের ঠিক পাশেই।  


প্যারিসের বিখ্যাত চার্চ

প্রথমেই যাত্রা শুরু আইফেল টাওয়ারের উদ্দেশ্যে। কী সুন্দর এই আইফেল টাওয়ার, আহা। একবার তাকালে চোখ ফেরানো যায় না। ভাবতেই অবাক লাগে, শুধু মেটাল দিয়ে এত বড় টাওয়ার কীভাবে বানালো মানুষ! হাজার ফুটের বেশি এই টাওয়ার বানাতে শুধু লোহাই লেগেছিল ৭৩ লাখ কেজি।  

আইফেল টাওয়ারের পর বিখ্যাত শর্জে লিজেতে (ইংরেজি - চ্যাম্প ইলিসেস) হাঁটতে গেলাম। কী নেই সেখানে। জগতের যত নামীদামী ব্র্যান্ড সবাই পসরা সাজিয়ে বসেছে। এরপর বেশ কয়েকটা প্যালেস ঘুরে রাতের আইফেল টাওয়ার দেখতে ফের যাওয়া। রাতের আইফেল টাওয়ার অপরূপ সুন্দর। যেন ক্ষণে ক্ষণে রং বদলায়। আমরা কিছুক্ষণ দেখে একটা ক্যানাল রাইড নিলাম।  

প্যারিসের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে সাইন নদী। আর সেই নদীর উপর অসংখ্য ব্রিজ। ব্রিজের নিচ দিয়ে বড় বোটে করে ঘুরে ফিরলাম আগের জায়গায়। কয়টা ব্রিজ পার করেছিলাম, সে হিসাব হারিয়ে ফেলেছি। তবে মনে হয়, কম করে হলেও ১৫-২০টা তো হবেই।  

আস্তে আস্তে গারু দে নর্ড-এর দিকে এগিয়ে যাই। একটা টার্কিশ দোকানে ডিনার সেরে হোটেলে ফিরলাম। পরদিন সকালে ওঠেই ছুটলাম লুভর মিউজিয়ামের উদ্দেশ্যে। মোনালিসাসহ হাজারো নামীদামী পেইন্টিং আছে সেখানে। অসাধারণ এক পরিবেশ, সেখান থেকে ফিরতেই মন চায় না।  


ফন্টানা ডি ত্রেভি-রোমের বিখ্যাত ফোয়ারা

নাস্তা না করায় পেট খালি। তাই লাঞ্চ করতে চলে গেলাম গারু দে নর্ড-এ। আগের দিন এখানে বাংলা খাবারের দোকান দেখেছিলাম, নাম ক্যাফে সুন্দরবন। দোকানে ঢোকার আগে ভেবেছিলাম ভেতরে প্রচুর বাঙালি-ভারতীয় লোক দেখব। কিন্তু দোকানে ঢুকে চক্ষু চড়ক গাছ! বাঙালি-ভারতীয় লোক আছে বটে, কিন্তু তারা সংখ্যালঘু। সংখ্যাগুরু হলো আফ্রিকানরা! তাদের নাকি বাঙালি খাবার অনেক পছন্দ।  

ভেতরে বসে কাচ্চি বিরিয়ানি অর্ডার দিলাম। হাত ধুয়ে আসতেই গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কাচ্চি হাজির। কখনো ভাবিনি প্যারিসে বসে কাচ্চি খাবো। মুখে দিতেই কাচ্চির মাটনটা যেন গলে গেল! আহা!! দশে দশ না হলেও অন্তত সাত থেকে আট তো পাবেই।  

হোটেলে ফিরে বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় বের হলাম ব্যাসিলিকা অব দ্য সেক্রেড হার্ট অব প্যারিসের  উদ্দেশ্যে। উঁচু পাহাড়ের উপরে এই চার্চ। লম্বা সিঁড়ি বেয়ে উঠলাম চার্চের ভিটিতে। ভেবেছিলাম এতো উপরে ফাঁকাই থাকবে। উপরে যেতেই অবাক। কিসের কী? মানুষ গিজগিজ করছে। অনেক উপরে দেখে চার্চের সামনে থেকে পুরো শহর দেখা যায়। তাই, ভিড় করে দেখছেন মানুষরা।  

এদিকে-ওদিকে একটু ঢুঁ মেরে হোটেলে ফিরে এলাম। একটু খারাপই লাগছে প্যারিস ছেড়ে যেতে হবে কাল। সকালে এক্সপ্রেস ট্রেনে চড়ে রওনা দিলাম এমস্টারডামের জন্য। এমস্টারডামে এসে পেলাম প্রচণ্ড বৃষ্টি। আমাদের হোটেল সেন্ট্রাল স্টেশনের পরের স্টেশনের (sloterdijk) ঠিক পাশেই। যথারীতি হোটেলে এসে রুম না পেয়ে লকার লাগেজ রেখেই ঘুরাঘুরি শুরু। সবকিছু সেন্ট্রাল স্টেশনের পাশেই। এখানে এসে পেলাম অদ্ভুত সব মিউজিয়াম। কনডম, গাঁজা, সেক্স, প্রস্টিটিউশান- কিসের উপর মিউজিয়াম নেই এখানে? বিকেলে ক্যানালে করে পুরো শহর ঘুরে দেখা হয়ে গেল। হাঁটতে হাঁটতে চিজ মিউজিয়াম, মাদাম তুসে, রয়েল প্যালেস ঘুরলাম।  

হঠাৎ রজেনগ্রাখত রাস্তায় একটা আরব রেস্টুরেন্ট খুঁজে পেলাম। অর্ডার দিলাম প্রিয় ডোনার কাবাব। এক ব্রিটিশ ভদ্রমহিলা নিজ থেকে এগিয়ে এসে জানালেন, লন্ডনের চেয়ে অনেক ছোট এই শহর। সাইকেলেই ঘুরে ফেলা যায় ১ ঘণ্টায়! প্যারিস/ বার্লিন ঘুরে আমাদেরও তাই মনে হয়েছিল।  

পরদিন সকালে তালিন ছুটলাম ক্লোজিং ইভেন্ট ধরার জন্য। হোটেলে থেকে রেডি হয়ে ম্যাকডোনাল্ডসে এলাম। দাম দেখে আমরা অবাক। ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার গোটা বিশ্বেই কম দাম, তাই বলে এতো কম হবে আশা করিনি। ১ ইউরোতেই বিফ প্যাটি আর চিজ দেওয়া বার্গার! বাংলা টাকায় মাত্র ৯০! 

জাঁকালো গালা ইভেন্ট হলো তালিনের তালিংক টেনিস কোর্টে। পুরনো অনেক জেসিআই বন্ধুর সঙ্গে দেখা। নাচে গানে গালা ইভেন্ট শেষ করে আমরা আবার হোটেলে ফিরলাম। ভোর-রাতে কনকনে ঠাণ্ডায় গেলাম এয়ারপোর্টে। গন্তব্য এবার রোম। মাঝে যাত্রা বিরতি ডেনমার্কে। রোমে আমার চাচা শ্বশুরের বাসা। তিনি তার মেয়েকে পাঠালেন আমাদের নিতে। দুপুরে বাংলা খাবারের বিশাল আয়োজন করলেন চাচা শ্বশুর। তাদের নিজস্ব রেস্টুরেন্ট আছে রোমে।  

হোটেলে ব্যাগ রেখে কলোসিয়াম দেখতে ছুটে যাওয়া। ২ হাজার বছরের পুরনো এই কীর্তি। কীভাবে এখনো এতো অটুট আছে, ভাবতেই অবাক লাগে। রোমে কফি মানেই এস্প্রেসো। খেলেই শরীর চাঙ্গা। দামও খুব কম, এক থেকে দেড় ইউরো। কফি খেয়ে বের হয়ে দেখলাম ফুটপাতের উপর একটা কল। কল থেকে অনবরত পানি পড়ছে। জানতে পারলাম রাস্তায় একটু পর পর পানির কল দেওয়া আছে পুরো রোম জুড়েই। পথচারীদের হাঁটতে হাঁটতে যদি পিপাসা পায়, তবে পানি খেতে যাতে সমস্যা না হয়, সেজন্যই এই ব্যবস্থা।  

হেঁটে হেঁটে পিয়াজ্জা ডি স্প্যানীয় নামের এক জায়গায় এলাম। অদ্ভুত রকমের সুন্দর ফোয়ারা। সেখান থেকে গেলাম আরও বড় এক ফোয়ারায়। এর নাম ফন্টানা ডি ত্রেভি। মানে হলো ত্রেভির ফোয়ারা। হাজার হাজার মানুষ ফোয়ারাকে ঘিরে। কেউ কেউ আবার পয়সা ফেলে মানত করছে। অনেকের নাকি ইচ্ছা পূরণ হয়েছে এখানে পয়সা দিয়ে! ইতালির মানুষের মধ্যে এই রকম হাজারো কুসংস্কার প্রচলিত আছে।  

একের পর এক ট্রাভেল করে শরীর বেশ ক্লান্ত। হোটেলে ফিরে লম্বা একটা ঘুম দিয়ে সকালে এই প্রথম ঠিক মতো নাস্তা করতে গেলাম। বেশ সুন্দর আয়োজন হোটেলের। হোটেলটার নাম ডমুস হেলেনা, মিশনারি হোটেল। সকাল সকাল আরও একবার কলোসিয়াম দেখতে যেতে চাইলেন ইরফান ভাই। হেঁটে হেঁটে চলে এলাম কলোসিয়াম দেখতে। কলোসিয়াম থেকে মেট্রো ট্রেনে চড়ে চলে এলাম রোমের ভেতর আরেক দেশে! 


ইতালির সৈকতে লেখক

বিশ্বের সব চাইতে ছোট্ট দেশ ভ্যাটিকান সিটি। লাখো মানুষের সমাগম ভ্যাটিকানে। কারণ পোপ এসেছেন সেদিন। ভাষণ দিচ্ছেন সবার উদ্দেশ্যে। ভ্যাটিকান থেকে পন্টে সেইন্ট এঞ্জেলোতে ঘুরে নদীর পাশের এক বাস স্টেশনে এলাম। বাসে করে দেখতে আসলাম রোমের পিরামিড! বড় পিরামিডগুলোর আদলে করা ছোট্ট একটি পিরামিড। ওখান থেকে লম্বা ট্রেন যাত্রায় চলে এলাম পন্টিলে ডি অস্টিয়া। রোমের কাছাকাছি সমুদ্র সৈকত। সৈকত পাথুরে হলেও ভূমধ্যসাগরের অপার সৌন্দর্যে বিমোহিত হলাম। সৈকতের পাশের এক রেস্টুরেন্টে খেয়ে আবার রোমের জন্য যাত্রা।  

 

বিকালে ইউরোমা ২-তে হালকা শপিং করলাম। বউকে ছাড়া ইউরোপে ঘুরলাম, কিছু না কিনে নিয়ে গেলে কি হয়? শপিং সেরে হোটেলে এলাম সব রাখতে। রাতে চাচা শ্বশুরের বাসায় নিমন্ত্রণ রক্ষা করে ঘুমাতে গিয়ে মনটা খারাপ হয়ে গেল। কাল চলে যেতে হবে ইউরোপ ছেড়ে। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। চাইলেও থাকার উপায় নেই! 

সকালে ঘুম থেকে প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে গাড়িতে করে এয়ারপোর্টে চলে গেলাম। রোম থেকে ইস্তাম্বুল  হয়ে চলে এলাম প্রাণের শহর ঢাকায়। এই পুরো ট্রিপ সময় লেগেছে মাত্র ১২ দিন! শেষ দিকে এসে অনুভূতিটা হলো ছোট গল্পের মত। শেষ হইয়াও হইলো না শেষ।

লেখক: ডিজিটাল বিশেষজ্ঞ ও সমাজসেবক

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৩, ২০২১
জেআইএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।