প্রকল্পটি নিয়ে কাজ করছে সেন্টার ফর ফরেস্ট বেসড লাইভলিহোড অ্যান্ড এক্সটেনশনের ত্রিপুরা শাখা। প্রকল্পে কার্যক্রম দেখতে আসাম রাজ্যের ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ত্রিপুরায় এসেছে।

সিএফএলইর প্রকৌশলী কর্মকর্তাদের প্রধান পবন কৌশিক বাংলানিউজকে জানান, তারা মূলত প্রকৃতিকে ক্ষতি না করে কিভাবে বাঁশ সংগ্রহ করে জীবনযাপন করা যায়, বাঁশকে কি করে প্রক্রিয়াজাত করলে দীর্ঘস্থায়ী হয়, বাড়িঘরের পরিত্যক্ত আবর্জনা থেকে কিভাবে উন্নতমানের জৈব সার তৈরি করা যায়, মৌমাছি পালন ও বাড়িতে ঔষধিগুণ সম্পূর্ণ গাছের বাগান করার বিষয়ে তারা প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন।
তিনি আরো জানান, এসব বিষয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য তারা একটি বিশেষ ক্লাব তৈরি করেছেন হাতিপাড়ায়। যা পাঞ্চাই ফার্মার্স ক্লাব নামে এটি পরিচালিত। মাত্র এক বছরেই সিএফএলইর ত্রিপুরা ইউনিট তাদের গবেষণা ও জন কল্যাণমুখী কাজের জন্য দেশের মধ্যে সুনাম অর্জন করেছে। তাই তাদের কার্যক্রম সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে 'আসাম প্রজেক্ট অন ফরেস্ট অ্যান্ড বায়ো ডাইভারসিটি কনজারভেসনের (এপিএফবিসি) প্রতিনিধিদল সিএফএলইর ত্রিপুরা শাখার কার্যক্রম ঘুরে দেখে শিখতে এসেছেন। তারা সাত দিন ধরে এ কার্যক্রম পর্যাবেক্ষণ করবেন। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ছিল আসাম থেকে আগত দলের তৃতীয় দিন।
এদিনে প্রথমে খাতায় কলমে জৈব সার তৈরির বিষয়ে ও বন থেকে ফুল ঝাড়ু সংগ্রহের বিষয়ে সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া হয় ও পরে সরেজমিনে জৈব সার তৈরির বিষয়টি দেখানো হয়।
আগত প্রতিনিধিরা বাংলানিউজকে জানান, তারা এখানে এসে অনেক কিছু শিখতে পেরেছেন। নিজ রাজ্যে ফিরে গিয়ে তারা তা মাঠপর্যায়ে কাজে লাগাবেন যার ফলে তারাও সাধারণ মানুষের জীবন ধারণের কাজে লাগিয়ে সফলতা অর্জন করবেন বলেও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৮
এসসিএন/এএটি