হাফেজ মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু। দেশের অন্যতম বুজুর্গ আলেম শায়খুল হাদিস আল্লামা নুরুদ্দিন গহরপুরী (রহ.)-এর ছেলে।
রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস মাহে রমজান। রোজাদার সিয়াম সাধনা করে আত্মশুদ্ধি ও আত্মসংযমের পরম পরীক্ষার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত লাভ করেন এবং দোজখের আগুন থেকে নাজাত পান।
রোজাদার রোজার মাধ্যমে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত বেশ কিছু বৈধ কাজ যথা বৈধ পানাহার এবং বৈধ কামাচার থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। এভাবে সে রোজার মাসসহ বাকি এগারো মাস অবৈধ এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকার প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এভাবেই রোজাদার সব রকমের পাপ কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখেন। এক্ষেত্রে রোজা তার জন্য ঢালের কাজ করে। এ কারণেই হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) হাদিস শরিফে ইরশাদ করেছেন, ‘রোজাদারের জন্য রোজা হচ্ছে ঢালস্বরূপ। ’ অর্থাৎ ঢাল যেমন ব্যক্তিকে তার শত্রুর আক্রমণ থেকে রক্ষা করে, তেমনি রোজাদারকে তার রোজা শত্রুরূপে সব রকমের পাপ কাজ থেকে রক্ষা করে।
আমাদের বর্তমান সমাজে সর্বত্র যেসব দুর্নীতি ও অনাচার বিদ্যমান; অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে করায়ত্ত করা, ঘুষ গ্রহণ ও ঘুষ প্রদানের মাধ্যমে অন্যায় কাজ করা, সরকারি অর্থ আত্মসাতকরণ, অন্যের অধিকার হরণ, খাদ্যে ভেজাল দেয়া, মজুতদারির মাধ্যমে অতিরিক্ত মুনাফা করা এগুলো সমাজেও যেমন ঘৃণিত ও গর্হিত অপরাধ ইসলামেও তেমনি অন্যায় ও মহাপাপ। সিয়াম সাধনার মাধ্যমে রোজাদারের যে আত্মোন্নয়ন ঘটে এবং আত্মশক্তি সৃষ্টি হয় তা তাকে এসব পাপকর্ম থেকে বিরত থাকার শক্তি জোগায়। রোজাদার রমজান মাসসহ বাকি এগারো মাস ব্যক্তি ও সামাজিক জীবনে এসব অন্যায় ও দুর্নীতি থেকে বেঁচে থাকার প্রয়াস চালাবে- এটিই রোজা বা সিয়াম সাধনার অন্যতম সামাজিক লক্ষ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘন্টা, জুন ১৭, ২০১৫