মাকরুহ এমন আমল যা পালন করার তুলনায় না করা উত্তম। অর্থাৎ যে কাজ করা জায়েজ কিন্তু না করা উত্তম।
মাসয়ালা : রোজা অবস্থায় টুথ-পাউডার ইত্যাদি ছাড়া শুধু মেসওয়াক ব্যবহার করা মাকরুহ নয়। এতে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না; বরং অন্য সময়ের মতো রোজার হালতেও মেসওয়াক করা সুন্নত। হজরত আমের ইবনে রবিয়া (রা.) বলেন, নবী করিম (সা.) কে আমি রোজার হালতে অসংখ্যবার মেসওয়াক করতে দেখেছি। -সহিহ বোখারি : ১/২৫৯
মাসয়ালা : রোজার হালতে প্রয়োজনে জিহ্বা দ্বারা কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়া বা প্রয়োজনে বাচ্চাদের জন্য খাদ্য চিবানো মাকরূহ নয়। তবে সতর্ক থাকতে হবে, যেন স্বাদ গলার ভেতরে চলে না যায়। রোজাদার মহিলা তার বাচ্চার জন্য খাদ্য চিবানোকে বিখ্যাত ইসলামি ইবরাহিম নাখয়ি (রহ.) দোষের বিষয় মনে করতেন না। -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৪/২০৭
মাসয়ালা : রোজাদারের জন্য সুরমা লাগানো বা সুগন্ধি ব্যবহার করা মাকরূহ নয়। হজরত আতা (রহ.) বলেন, ‘রোজাদারের জন্য সুরমা ব্যবহার করাতে দোষ নেই। ’ -মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক: ৪/২০৮
মাসয়ালা : শীতলতা লাভের জন্য মাথা, দেহে পানি ঢাললেও রোজা মাকরুহ হয় না। হজরত আবু বকর ইবনে আবদুর রহমান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন রোজা অবস্থায় বাইরে বের হলেন। যখন ‘আরাজ’ নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন রোজা তার জন্য কষ্টকর হয়ে দাঁড়াল। ফলে তিনি মাথায় পানি ঢেলেছিলেন। -মুসান্নাফ আবদুর রাজ্জাক: ৪/২০৬
মাসয়ালা : সন্তানকে দুধ পান করালে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না। কারণ, এটা রোজা ভঙ্গের কারণ নয়। রোজা বলা হয় পানাহার ও স্ত্রী সহবাস থেকে বিরত থাকাকে। এখানে যেহেতু পানাহার ও স্ত্রী সহবাসের কোনো সুযোগ নেই, তাই রোজা হয়ে যাবে। -ফতোয়ায়ে শামি, তৃতীয় খণ্ড, ৩৭১ পৃষ্ঠা
এছাড়াও রোজা অবস্থায় নিম্নোক্ত কাজগুলো করলে রোজার কোনো ক্ষতি হয় না।
১. শুধুমাত্র রোগ আরোগ্যের জন্য যে ইনজেকশান দেয়া হয়, তা গ্রহণ করা।
২. কুলি করা, নাকে পানি দেয়া। তবে গড়গড়া করবে না। নাকের খুব ভিতরে পানি টান দিয়ে নেবে না। হাদিসে বলা হয়েছে, রোজা অবস্থায় না থাকলে অজুর সময় নাকের ভিতর উত্তমরূপে পানি টেনে নেবে। -তিরমিজি
৬. চোখে বা কানে ঔষধ ব্যবহার করা।
৭. স্ত্রীকে স্পর্শ করা।
৮. রাত্রি বেলায় স্ত্রী সহবাস করা।
৯. কোনো কিছুর ঘ্রাণ নেয়া। তবে ধুমপান, আগরবাতি ও চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা ধুপ গ্রহণ করবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৫ ঘন্টা, জুন ২৫, ২০১৫
এমএ