ঢাকা: জীবনের প্রথম রোজা নিয়ে রয়েছে একেকজনের একেক রকম স্মৃতি। আজ সমাজে যারা প্রতিষ্ঠিত, কিংবা উচ্চপদে আসীন তাদের শৈশব, কৈশোর ও বাল্যকালের বিশেষ করে প্রথম রোজার স্মৃতি জানার চেষ্টা করেছে বাংলানিউজ।
বাংলানিউজের সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ইলিয়াস সরকার মুখোমুখি হয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের।
বরিশালে ঐতিহ্যবাহী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন। ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যও। এমনকি ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ছেড়ে দেওয়া আসন থেকে এমপিও হয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে তিনি বরিশাল বারেরও সভাপতি ছিলেন।
মুহাম্মদ ইউসুফ হোসেন হুমায়ুনের সঙ্গে রোজার স্মৃতি নিয়ে আলাপচারিতায় উঠে আসা স্মৃতিকথার চুম্বুক অংশ পাঠকের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘সময়টা মনে হয় পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুতে। আমি তখন ক্লাস সেভেন কিংবা এইটে পড়ি। সালটা মনে হয় ১৯৪৮ কি ৪৯ হবে। তখন জীবনের প্রথম রোজা’- বললেন এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবী।
প্রথম রোজার অনুভূতি কেমন ছিলো এমন প্রশ্নের জবাবে ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, ‘অন্য রকম অনুভূতি। মনে হয় বিশাল কাজ করেছি। বিশাল কিছু অর্জন করেছি। এটা একটা স্পন্দন ছিলো। মনে হয় একটা কিছু করতে পেরেছি। ’
ছোটবেলায় উপোস থেকেও কোনো কষ্ট লাগতো না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই যে সারা দিন না খেয়ে থাকলাম, উপোস থাকলাম এতে কিন্তু কোনো কষ্ট লাগতো না। ’
সেই ছেলেবেলার রোজার স্মৃতিচারণ করতে এই আওয়ামী লীগ নেতা আরও বলেন, ‘আমাদের বাড়ি থেকে বরিশালী ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন মসজিদের দূরত্ব ছিল মাত্র দুই মিনিটের রাস্তা। রোজা রেখেই ওই মসজিদে যাওয়ার আনন্দ ছিলো আরও বেশি। ’
এত অল্প বয়সে রোজা রাখলে আব্বা-আম্মা বাধা দিতেন কি না এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘না ওনারা বাধা দিতেন না। খুশি হতেন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১১৩২ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৬
ইএস/এমজেএফ/