ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

ঈদের চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম: মিজান এমপি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১০ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৬
ঈদের চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম: মিজান এমপি ছবি: মানজারুল ইসলাম/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: বাংলানিউজের কাছে শৈশবের রোজার স্মৃতিচারণ করেছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিজানআলাপচারিতায় ছিলেন বাংলানিউজের স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাহবুবুর রহমান মুন্না।

সেই আলাপের চুম্বুকাংশ-

৫ম শ্রেণি থেকে রোজা রাখা শুরু
আমার মা ছিলেন অত্যন্ত ধার্মিক। যে কারণে ছোটবেলা থেকেই অর্থাৎ ৫ম কিংবা ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকেই রোজা রাখা ছিলো বাধ্যতামূলক। দুপুরে ঘরে রান্না হতো না। তখন আমরা নগরীর মৌলভীপাড়ায় থাকতাম। শহরে তখন এতো হোটেলও ছিলো না। আমি রোজা রেখে দুপুরে লুকিয়ে পানি খেতাম। মা উপদেশ দিতেন সবার চোখকে ফাঁকি দিলেও আল্লাহর চোখকে ফাঁকি দেওয়া যায় না। মা আমাদের ভাই-বোনদের বলতেন, রোজা রেখে কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যায় না, এমনকি নখ কাটাও ঠিক না। রোজা রেখে বেশি বেশি কোরআন পড়তে হয়। আমাকে মা বলতো, রোজার সময় ছোট ভাই-বোনদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হয়। এসব কথা আমার আজও  মনে আছে।

মায়ের উপদেশে নামাজ-রোজা ছাড়িনি
ছোটবেলা থেকেই নামাজ-রোজা করি। তবে যতদূর মনে পড়ে অনন্ত ৩০ বছরের মধ্যে একটা রোজাও ভাঙিনি। এমনকি নামাজও কাজা করিনি। মায়ের শিক্ষা পেয়ে ছোটবেলা থেকে ইবাদাত করতে পেরে মনের ভেতর একটা আলাদা শক্তি কাজ করে। যে শক্তির বলে জনগণের সেবা করতে পারছি।

রোজার দিনগুলো ছিল মজার
ছোটবেলার রোজার দিনগুলো ছিল বেশ মজার। শৈশবে আমাদের আনন্দের দু’টি সময় ছিল ইফতার ও সেহরি। অন্য সময়ের চেয়ে একটু ভিন্ন এবং সুস্বাদু খাবার তৈরি হতো ইফতারের জন্য, যা আমাদের জন্য ছিল মহা আকর্ষণের। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে ইফতার করার মতো আনন্দকে পৃথিবীর অন্যকোনো আনন্দের সঙ্গে তুলনা করা যায় না। আর সেহরির মজাটা ছিল ভিন্নতর।

ইফতারি ছিলো মজাদার খাবার
ইফতারের সময়টা ছিল আমার জন্য খুব মজাদার। কত মজার মজার সব খাবার। সেসব খাবারে কোনো ফরমালিন ছিলো না, তখনকার ইফতারিতে অনেক স্বাদ ছিলো। এখনকার ইফতারিতে সেই স্বাদ নেই।

ঈদের চাঁদ দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকতাম
ঈদের এক ফালি চাঁদ দেখার জন্য সবাই মাঠে গিয়ে বসে থাকতাম। চাঁদটি দেখামাত্রই আমরা উল্লাসে মেতে উঠতাম। পাড়া-মহল্লায় পরে যেতো আনন্দের ধুম। এখনকার শিশুদের মাঝে চাঁদ দেখা নিয়ে সেই হৈ-হুল্লোড় লক্ষ্য করা যায় না। কেননা তারা এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে ও টিভি দেখে জানতে পারে কাল ঈদ হবে।

শৈশবের অমলিন স্মৃতি আজও  দোলা দেয়
শৈশব ও কিশোর জীবনের স্মৃতি বড় মধুময় হয়ে এখনও ভেসে ওঠে। শৈশব ও  কৈশোরে ঈদের নামাজ পরে কোলাকুলি, পাড়া-মহল্লায় ঘুরে বেড়ানো, সেমাই খাওয়া সবই ছিলো যেন একটা রেওয়াজের মতো। কিন্তু এখন আর সেটা নেই। এখন অনেকেই ঈদ করেন প্রবাসে। ঈদের নামাজের পর তেমন আর কোলাকুলিও দেখা যায় না। জীবন পথের এ সময়ে হারানো দিনগুলোকে খুব অনুভব করি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০১৬
এমআরএম/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।