আদিবা তাসনীম। তার সঙ্গে কথা বলতে যাই মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায়।
তাহলে হিফজ শুরুর গল্পটি আগে শুনে নেই। আদিবার বাবা হাফেজ মাওলানা নাছিরুদ্দিন খান। পেশায় পুস্তক ব্যবসায়ী। বাংলাবাজারে নাছির বুক ডিপোর মালিক। মা হেলেনা আক্তার গৃহিনী। দুই বোনের সংসারে আদিবা ১ম।
গ্রামের বাড়ি জিজ্ঞেস করতেই লাজুক হাসি। কোনোভাবেই বলতে চাইছে না। অবশেষে আস্তে করে বলল, শায়েস্তাবাদ, কোতয়ালী, বরিশাল। এখন অবশ্য ঢাকা নারায়ণগঞ্জ রোডের পাশে ভূঁইগড়ের মাদানি নগর এলাকায় থাকেন।
যে বয়সে অন্য দশটা বাচ্চা আলিফ-বা-তা শুরু করে কিংবা গোটা দশেক সূরা মুখস্থ করে এবং এটাই স্বাভাবিক, সেই বয়সে তার এই কীর্তিকে অসাধারণই বলা চলে।
আলাচারিতায় আদিবা জানায়, আমি কোরআন পড়া শুরু করি আম্মার কাছে। পরে বাসার পাশে আল মাদরাসাতু দ্বীনিয়া লিল বানাত মাদানি নগরে ভর্তি হই। সেখানে সবক শোনাই। কিন্তু মুখস্থটা করি বাসায় আম্মার কাছেই। মাদরাসার শিক্ষিকার কাছে কিছুদিন শুনিয়ে চলে আছি মারকাজুত তাহফিজ ইন্টারন্যাশনাল মাদরাসায়।
এই মাদরাসায় হাফেজ রহমতুল্লাহ ও হাফেজ নেছার আহমাদ আন নাছিরীর কাছে নিয়মিত কোরআন শোনাতে থাকি।
আদিবার শিক্ষক হাফেজ রহমতুল্লাহ বাংলানিউজকে জানান, আদিবা দৈনিক ৪-৫ পারা করে কোরআন শুনিয়েছে।
আদিবা ২০১৬ সালে এটিএন বাংলা আয়োজিত রিয়েলিটি শো’তে ১ম স্থান অর্জন করে।
তার এই অসাধারণ কীর্তির দরুন ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর তাকে সংবর্ধনাও দিয়েছে। ওই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ধর্ম মন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভী উপস্থিত ছিলেন। তারা আদিবার তেলাওয়াত শুনে অভিভূত হন।
নখ কামড়ে কামড়ে কথা বলা আদিবা জানায় কোরআন পড়তে আমার ভালো লাগে। ভবিষ্যতে আরও সুন্দর করে কোরআন পড়তে চাই। বড় হয়ে কী হতে চাও এ প্রশ্নে তার কথা আব্বু জানেন।
অনেক মানুষের সামনে কোরআন তেলাওয়াতে কোনো ভয় নেই আদিবার। বললেই হলো চলতে থাকে না বলা পর্যন্ত।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমএইউ/