সওম বা সিয়ামের শাব্দিক অর্থ হলো- বিরত থাকা। এটাকে পাকভারত উপমহাদেশে রোজা বলা হয়।
রমজানের চাঁদ উদিত হলে সকল প্রাপ্ত বয়স্ক, সুস্থ, মুকিম পুরুষ এবং হায়েজ ও নেফাসমুক্ত নারীর ওপর পূর্ণ রমজান রোজা রাখা ফরজ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন, ‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে। যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার। ’ -সূরা বাকারা: ১৮৩
সহিহ বোখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও ইখলাসের সঙ্গে রমজান মাসের রোজা রাখবে তার পূর্বের সব গোনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহিহ মুসলিমে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তানের সকল আমলের সওয়াব দশ থেকে সাতশগুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়। আল্লাহতায়ালা (হাদসে কুদসিতে) বলেন, সওম এর ব্যতিক্রম। সওম একান্ত আমার উদ্দেশ্য, তাই তার বিনিময় আমি নিজে দেবো।
বোখারি ও মুসলিমের বর্ণনা মতে নবীজি (সা.) ইরশাদ করেন, জান্নাতে একটি বিশেষ দরজা রয়েছে, যার নাম- ‘রাইয়ান। ’ কিয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে কেবলমাত্র রোজাদাররা প্রবেশ করবেন।
লেখক: প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টার, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৭
এমএইউ/