ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

তারুণ্যের ভাবনায় রমজান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
তারুণ্যের ভাবনায় রমজান মেহেদী হাসান রুবেল, শামিমা আক্তার, জাহিদ হাসান ও মেহেদী হাসান রাসেল

রহমত, মাগফিরাত আর নাজাতের মাস রমজান। রমজানে মুমিনহৃদয়ে ইবাদতের ঢেউ ওঠে। মুসলমানদের ঘরে ঘরে সুর উঠে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের। তরুণ ও যুব সমাজে ইবাদত-বন্দেগির প্রতি আলাদা আগ্রহ তৈরি হয়।

তরুণরা অন্য সময় নামাজ-রোজা কম করলেও রমজানে বেশ স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে মসজিদে যায়; দিনভর রোজা রাখে। তরুণদের আমল সম্পর্কে নবী করিম (সা.) বলেছেন, কেয়ামতের দিন মানুষকে ৫টি প্রশ্ন করা হবে।

তন্মধ্যে একটি হলো- তার তারুণ্যকে সে কীভাবে তাড়িত করেছে।
 
আজকের আয়োজনে কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়া চার তুরণের ‘রমজান অনুভূতি’ তুলে ধরা হলো- 

মেহেদী হাসান রুবেল
অনার্স ২য় বর্ষ, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
রজমান সিয়াম সাধনার মাস। সংযম অর্জনের মাস। বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মাস। রমজানে আমরা রোজা রাখি, নামাজ পড়ি। বাড়িতে থাকলে পরিবারের লোকদের সঙ্গে আর হলে থাকলে বন্ধুদের নিয়ে ইফতার করি। সাহরিও করি একসঙ্গে বসে। পুরো মাস চেষ্টা করি ইচ্ছা-অনিচ্ছা সব ধরনের গোনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে। এ মাসের পবিত্রতা বজায় রাখা মুসলিম-অমুসলিম সবার নৈতিক দায়িত্ব।
 
এ মাসে গরিব-দুঃখীদের বেশি বেশি সাহায্য-সহযোগিতা করা উচিত। এখন তো তেমন সামর্থ্য নেই, তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সেভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি না। কিন্তু ইচ্ছা আছে, সময়-সুযোগ পেলে মানুষের সহযোগিতা করব। তাদের পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।

শামিমা আক্তার
বিবিএ ৩য় বর্ষ, ব্যবস্থাপনা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
রমজান মাস আমার ভালো লাগে। এ মাসে আত্মপ্রশান্তি পাই। ছোটবেলা থেকে নিয়মিত রোজা রাখি। রমজানে নামাজসহ অন্যান্য ইবাদত বিশেষভাবে পালন করি। এই রমজানে বিশেষ একটি আমল করছি। সেটা হলো- প্রতিদিন একশ’ বার কালিমা পাঠ করি। এই আমলটা রমজানের পরেও সারা বছর ধরে রাখতে চাই।

বরাবরই রমজানে পরিবারের লোকদের সঙ্গে ইফতার-সাহরি করার আনন্দ মিস করি। তবে হলে বান্ধবীদের সঙ্গে ভালোই কাটে রমজানের সারাবেলা। রমজান প্রতিটি মুমিনের ঘরে নুরের আলো জ্বালিয়ে দিক- এই প্রত্যাশা রাখি।

জাহিদ হাসান
ব্যাচেলর অব এডুকেশন, অনার্স ৩য় বর্ষ, সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ, ঢাকা
প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য রমজানের রোজা রাখা ফরজ। ইবাদত হিসাবে নামাজের পরই রোজার অবস্থান। রমজানের রোজা আমাকে কোমল বানিয়ে তুলে, পরকালের কথা বেশি বেশি মনে করিয়ে দেয়। অন্য সময় নিয়মিত নামাজ আদায় না করতে পারলেও এ মাসে রোজা পালনের সাথে সাথে যথাসময়ে নামাজ আদায় করার চেষ্টা করি। বিভিন্ন দোয়া-দরুদ পাঠ করি। রমজানের প্রতিটি আমল আমাকে তৃপ্তি দেয়। বিশেষ করে তারাবির নামাজে গেলে অন্যরকম আনন্দ অনুভব করি। রমজানে মা-বাবা পরিবারকে অনেক মিস করি। ইফতারে বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ করলেও সেহরির সময় পরিবারকে খুব মিস করা হয়।

মেহেদী হাসান রাসেল
বিবিএ ৩য় বর্ষ, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ, বৃন্দাবন সরকারি কলেজ, হবিগঞ্জ 
রোজা মানুষকে আল্লাহমুখি বানায়। আমার ক্ষেত্রেও এটা ব্যতিক্রম কিছু নয়। রোজা আসলে আমার রুটিনে পরিবর্তন আসে। জামাতের সাথে নামাজ পড়ি। তারাবি পড়ি। অন্যসময় অজান্তে গোনাহের কাজে লিপ্ত হলেও রমজানে পবিত্র থাকার চেষ্টা করি। এই রমজান থেকে নিয়ত করলাম- রমজানের পরের দিনগুলোও গোনাহমুক্ত থাকার চেষ্টা করব- ইনশাআল্লাহ।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।