জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত অভিভাবকহীন শিশুদের পড়াশোনা ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয় এখানে। সব সময় তাদের ভাগ্যে ভালো খাবার জোটে না।
রমজানে সমাজের ধনাঢ্য ব্যক্তিদের পাঠানো ইফতারসামগ্রী দিয়ে ব্যতিক্রমী ও ভিন্ন রকম ইফতার আয়োজন হয় এই এতিমখানায়। ৭০ জন এতিম শিশুসহ শিক্ষক ও অতিথিদের নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে চলে এখানে প্রতিদিনের ইফতার।
হবিগঞ্জ শহরের রাজনগর ইসলামিয়া এতিমখানায় শিশু শ্রেণি থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।
একজন সুপার ও ৫ জন সহকারি মাওলানা রয়েছেন শিশুদের পড়াশোনা ও সার্বিক দায়িত্ব পালনে। এই শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে রমজানের প্রতিদিন চলে ক্বেরাত ও রোজা রাখার নিয়মাবলীর প্রশিক্ষণ।
দানশীল ব্যক্তিরা প্রতিদিন এখানে ঠিক সময়ে ইফতার ও সাহরির খাবার পাঠিয়ে দেন। অনেক সময় বলে রাখেন কোনদিন কে খাওয়াবেন।
১৮ রমজান পর্যন্ত ইফতার ও সাহরির খাবার কে কে পাঠাবেন এতিমখানায় বুকিং হয়ে আছে। বাকি দিনগুলোতেও দাতারা এগিয়ে আসবেন- আশা কর্তৃপক্ষের।
এতিমখানার সহকারি মাওলানা মোহাম্মদ শাহীন বাংলানিউজকে জানান, বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যে এতিমখানায় প্রতিদিন ইফতারের আয়োজন করা হয়। ইফতারের আগে মুনাজাত করে সেখানে সবাই একসাথে বসে আনন্দ-উৎসবের সঙ্গে ইফতার করেন।
ইফতারিতে শরবত, খেজুর, ছোলা, বিরানি, মুড়ি ও পেঁয়াজু থাকে। মাঝে-মধ্যে ফল ও মিষ্টি জাতীয় খাবারও থাকে।
তিনি জানান, ছোট্ট অসহায় শিশুদের নিয়ে ইফতার করা এক ভিন্ন অভিজ্ঞতা। সারাদিনের অনাহারযাপন শেষে যখন ইফতার সামনে আসে তখন এই এদিমদের হাসিমাখা মুখ দেখে মন ভরে যায়।
তিনি আরও জানান, জায়গা সঙ্কটের কারণে এখানে ৬ বছর বয়সী থেকে শুরু করে ৭০ জন এতিম শিশু রাখা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে নবনির্মিত ৪ তলা ভবনটি উদ্বোধন হলে আরও ২শ’ শিশুর পড়াশোনা ও থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
মা-বাবা ও অভিভাবকহীন এ সব শিশুদের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান করেছেন এতিমখানার সুপার মোহাম্মদ নজমুল হোসেন খান।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৬ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
এমএইউ/