কাজাখস্তানের সবচেয়ে বড় শহর আলমাতি হলেও দেশের উত্তর অংশে অবস্থিত আস্তানা দেশটির রাজধানী। এ দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী।
রাশিয়া ১৮৭০ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে কাজাখস্তান দখল করে নেয়। পরবর্তীকালে ১৯১৭ সালে ক্রেনোস্কির নেতৃত্বে ডেমোক্র্যাটরা রাশিয়ার জারের পতন ঘটায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা সংহত হওয়ার আগেই আবার বিপ্লব হয় ওই বছরই। জারের অধীনে ১৯১৭ সাল পর্যন্ত কাজাখস্তান ছিল। এরপর কমিউনিজমের অধীনে ছিল ১৯৯১ সালের স্বাধীনতার আগ পর্যন্ত।
গোটা কাজাখস্তানে আছে দেড় হাজারের মতো মসজিদ। কাজাখস্তানের বড় বড় শহরগুলোতে মুসলমানদের ধর্মীয় বিষয়াদী দেখভাল করেন একজন ইমাম। তিনি প্রধান ইমাম নামে পরিচিত। তাকে ‘ইমামে শহর’ বলা হয়।
দেশটিতে এক সময় ইসলাম নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু এখন অবস্থা বদলেছে। ধীরে ধীরে মানুষ ইসলাম চর্চায় মনোযোগী হচ্ছে।
কাজাখদের প্র্যাকটিস যা-ই হোক, তারা ইসলামকে গভীরভাবে ভালোবাসে। তারা তাদের আইডেন্টিটির ব্যাপারে সচেতন। তাদের ভেতরে কাজাখ ও মুসলিম ফিলিংস আছে। দেশটিতে মুসলিম-অমুসলিমদের সহাবস্থান এটাই প্রমাণ করে।
বর্তমানে প্রতি এক শ’ জন মুসলিম নারীর মধ্যে দু’তিনজন মাথায় স্কার্ফ কিংবা হিজাব পরিধান করেন। দেশটির ২০ শতাংশ মুসলমান নামাজ পড়ে। তবে রোজাদারের পরিমাণ আরও অনেক বেশি।
কাজাখস্তানের মুসলমানদের দৈনিক সাড়ে ১৮ ঘণ্টা রোজা রাখতে হয়। তারা গম থেকে তৈরি বিভিন্ন প্রকারের খাবার বেশি খায়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০১৭
এমএইউ/