দীর্ঘ এক মাস সঠিক উপায়ে সিয়াম সাধনা করলে রোজাদারের মধ্যে যে সংযম সৃষ্টি হয় তা অন্য কোনোভাবে সম্ভব হয় না। এ জন্য আত্মগঠনের সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর উপায় হলো- রোজার সকল বিধি-বিধান মেনে চলা।
ঝগড়া-বিবাদ থেকে বিরত থাকা রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। রোজাহীন অবস্থায়ও তা নিষিদ্ধ, আর রোজা অবস্থায় আরও মারাত্মক।
সহীহ ইবনে খুযাইমার বর্ণনায় সাহাবি হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ রোজা রাখলে সে যেন অশ্লীল কথা ও মূর্খতা পরিহার করে। যদি কেউ তাকে গালমন্দ করে কিংবা তার সঙ্গে ঝগড়া-মারামারিতে লিপ্ত হয়, সে যেন বলে- আমি রোজাদার। ’
অপর বর্ণনায় এসেছে, ‘সিয়াম হলো (জাহান্নাম থেকে রক্ষাকারী) ঢালস্বরূপ যতক্ষণ না তাকে ভেঙ্গে ফেলা হয়। ’
সাহাবারা প্রশ্ন করলেন, কি করে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়? তিনি বললেন, মিথ্যা কিংবা গালমন্দের মাধ্যমে। ’
সুতরাং রোজাদার ব্যক্তি পরিবারের ছোট-বড় কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবে না, সবার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। পরিচিত-অপরিচিত যে কোনো লোকের প্রতি কটূবাক্য, জুলুম, নির্যাতন, গালিগালাজ ইত্যাদিতে লিপ্ত হলে সে রোজা তাকে জাহান্নাম হতে রক্ষা করবে না। প্রত্যেক রোজাদার যদি রোজার এই গুরুত্বপূর্ণ বিধান (ঝগড়া বিবাদ পরিহার) মেনে চলেন, তবে সমাজে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে, যেমন হয়েছিল হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদার যুগে।
লেখক: প্রিচার অ্যান্ড ট্রান্সলেটর, পশ্চিম দাম্মাম ইসলামি সেন্টার, সৌদি আরব
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এমএইউ/