এ সময় সব মুসলিম এক কাতারে শামিল হয়ে যান। আল্লাহপ্রেমী মদিনার মুসলমানরা তাদের অতিথিদের জন্য উদারভাবে মেহমানদারী করেন।
আর মসজিদের বাইরের ইফতারগুলোয় অন্যসব আয়োজনের সঙ্গে থাকে জুস, রাইস, গরু কিংবা মুরগীর গোশত। প্রচুর মানুষ এই ইফতারে শরিক হলেও খাদ্য বিতরণ ও ব্যবস্থাপনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার প্রতি সকলের রয়েছে প্রবল দৃষ্টি।
মসজিদে নববীর পাবলিক রিলেশন ডিরেক্টরেটের ডেপুটি জেনারেল সুপারভাইজার আবদুল ওয়াহিদ আল হাত্তাব বলেন, মসজিদে নববীর একটি কমিটি মসজিদটি পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
তিনি বলেন, এই কমিটির লোকজন ২৪ ঘণ্টা জিয়ারতকারীদের সুবিধার প্রতি নজর রাখে, নামাজের স্থান ঠিক রাখে, জায়নামাজ এবং ঠান্ডা জমজমের পানি বিতরণ করে।
কমিটির লোকজন সর্বদা জিয়ারতকারীদের সুবিধা-অসুবিধার প্রতি লক্ষ্য রাখে এবং কীভাবে তাদের সেবা আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে গবেষণা করে থাকে।
ইফতারের জন্য মসজিদে নববীতে আসরের নামাজের আধা ঘণ্টা পর থেকে ইফতার সামগ্রী গ্রহণ করা হয়। চারটি কর্ণার দিয়ে বৈধ ইফতার সামগ্রী প্রবেশ করানো হয়।
আর ইকামত হওয়ার আগেই পরিচ্ছন্ন কর্মী, সুপারভাইজার ও যারা ইফতার সামগ্রী নিয়ে আসেন তারা মিলে সব উচ্ছিষ্ট সরিয়ে নেন। মসজিদের মূল চত্ত্বরের বাইরে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক স্থানে ইফতার আয়োজন করা হয়। পরে এশা ও তারাবির নামাজের আগেই সব উচ্ছিষ্ট মসজিদ চত্ত্বর থেকে অপসারণ করা হয়।
-আরব নিউজ অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এমএইউ/