ইসলাম ও বিদেশিদের বিষয়ে ট্রাম্পের অহেতুক ভীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দু’টি অধিকার আন্দোলন গোষ্ঠীর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার (০১ জুন) নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে সবচেয়ে ব্যস্ত সড়কে এ আয়োজন করা হয়।
এ প্রতিবাদে সংহতি জানাতে অন্য অনেক ধর্মের লোকজনও আমেরিকার রমজানের ষষ্ঠ দিনে আয়োজিত ওই ইফতারে অংশ নেয়।
এমপাওয়ার চেঞ্জ ও নিউ ইয়র্ক স্টেট ইমিগ্র্যান্ট অ্যাকশন ফান্ড নামক সংগঠনের ডাকে আয়োজিত অভিনব এ প্রতিবাদে কোনো স্লোগান দেওয়া হয়নি, কোনো ব্যানারও বহন করা হয়নি। উপস্থিত সবাই ইফতারে অংশ নিয়েছেন এবং মুসলিমরা মাগরিবের নামাজ আদায় করেছেন।
এ সময় নিউ ইয়র্ক শহরের কেন্দ্রস্থল ম্যানহাটনের ফিফথ এভিনিউতে ট্রাম্প টাওয়ারের প্রবেশ পথে বিপুলসংখ্যক পুলিশ দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের থেকে কয়েক কদম দূরে নিরাপত্তাবেষ্টনীর অপর পাশে মুসলিমরা ও তাদের সমর্থকরা বসে ইফতার করছিল, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিল।
ইফতারের আগে নিউ ইয়র্ক স্টেট ইমিগ্যান্ট অ্যাকশন ফান্ডের উপপরিচালক আনু যোশি বলেন, ‘প্রতিদিন আমেরিকান মুসলিমরা গোঁড়ামি ও ঘৃণার শিকার হচ্ছে। কাজের ক্ষেত্রে, স্কুলে, চাকরি চাইতে গিয়ে, ধর্ম পালন করতে যেয়ে- এমনকি জীবনযাপনের ক্ষেত্রেও তারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। ’
প্রতিবাদী আয়োজনে ওম্যান মার্চের সহপ্রতিষ্ঠাতা ফিলিস্তিনি-আমেরিকান লিন্ডা সারসৌরও বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ইসলাম কোনো বিদেশি ধর্ম না এবং মুসলিম ও কৃষ্ণকায়দের ওপর ভর করেই যুক্তরাষ্ট্র গঠিত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
-সিএনএন অবলম্বনে
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০১৭
এমএইউ/