‘গুনগুর চ্যারিটি’ এক তুর্কী নারীর প্রতিষ্ঠান। ১৯৬৬ সালে ওই নারী একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন।
ওই নারীর ওসিয়ত পালনে বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও রমজানের প্রতিদিন ফ্রি ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।
ফ্রি ইফতার আয়োজন প্রসঙ্গে ওই নারীর নাতী (মেয়ের ছেলে) ইলকার কায়া বলেন, এই মসজিদে ফ্রি ইফতারের আয়োজন বিগত ২৭ বছর ধরে চলে আসছে।
তিনি বলেন, নানীর ইন্তেকালের পূর্বে আমরা নানীর সঙ্গে রমজানের কোনো একদিন ইফতারের জন্য মাগরিবের আজানের অপেক্ষায় ছিলাম। তখন নানী দেখেন, কিছু মানুষ বেকারী থেকে রুটি কিনছে, কেউ আবার হোটেলে প্রবেশের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে, আর কিছু মানুষ বিভিন্ন খাদ্যের দোকান থেকে ইফতার সামগ্রী ক্রয় করছে।
ইলকার কায়া বলেন, আমরা যখন ইফতারের টেবিলে বসেছিলাম তখন নানী বললেন, আমরা যদি রমজানজুড়ে এই মসজিদের নিচের রুমে ইফতারের আয়োজন করে মানুষদের মাঝে বিতরণ করি- এ ব্যাপারে তোমাদের মতামত কী?
উপস্থিত সবাই তার মতকে চমৎকার উল্লেখ করে তা আয়োজনের বিষয়ে সহমত পোষণ করেন।
কায়া বলেন, নানীর প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে গত শতাব্দীর নব্বই দশকের শুরুতে প্রথম ফ্রি ইফতার বিতরণের আয়োজন করা হয়। সেদিন প্রায় ২শ’ জনের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়েছিল। সেই থেকে শুরু। এখন প্রতিদিন দেড় হাজার মানুষকে ফ্রি ইফতার দেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গরীর ও অভাবী মানুষের পাশাপাশি আমরা ইরাক ও সিরিয়ার মেহমানদের (শরণার্থীদের তারা মেহমান বলে) মাঝে ইফতার বিতরণ করছি। প্রতিদিন এ মসজিদ থেকে প্রায় ৮০টি সিরিয়ার পরিবার ইফতার গ্রহণ করছেন। সেই সঙ্গে অনেক শ্রমিক যারা বাড়িতে ইফতার গ্রহণের সুযোগ পান না তারাও এখানে ইফতার করেন।
প্রতিদিন ৫ ধরনের খাবার দিয়ে ইফতারের আয়োজন করা হয়। খাবারের মানও যথেষ্ট ভালো।
এই ইফতার আয়োজনে অনেকেই নানাভাবে সহযোগিতা করেন। খরচ বহনে অংশীদার হন।
কায়া আরও বলেন, পবিত্র রমজান মাসে রোজাদারদের জন্য এমন ফ্রি ইফতার আয়োজনের ধারা অব্যাহত রাখতে সে তার সন্তানদেরও অসিয়ত করে যাবে।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১১০৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এমএইউ/