কিন্তু জার্মানিতে কী করছেন মুসলমানরা? দেশটিতে প্রায় ৪০ লাখ মুসলমানের বাস। এর প্রায় অর্ধেকই তুর্কি নাগরিক।
এবার জার্মানির মুসলমানদের ১০ ঘণ্টার মতো রোজা পালন করতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশসহ অনকে মুসলিম বিশ্বে যেমন রোজার সময় অফিস-আদালতের সময় কমে যায়, স্বাভাবিকভাবে জার্মানিতে সেটা হয় না। ফলে বছরের অন্যান্য দিনের মতো রোজার সময়ও একই সময় ধরে কাজ করতে হয়।
আহমাদ হাইতাম নামের ৩৩ বছরের এক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, জার্মানিতে তিনি তার দেশে রোজার সময়ে যে ধরনের খাবার খাওয়া হয়- সেটার অভাববোধ করছেন। এ ছাড়া রমজান মাসে ফিলিস্তিনে যে পরিবেশ থাকে সেটারও কথা মনে পড়ে তার। তবে এসবের চেয়েও বড় যে কঠিন পরিস্থিতি তিনি অনুভব করেন সেটা হলো- চোখের সামনে সবাইকে খেতে দেখেও সেগুলো থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
৬৬ বছরের তাহরাও পরিবেশের কথা বলছেন। পাকিস্তানি এই নাগরিক থাকেন ড্যুসেলডর্ফে। তিনি বলেন, তার দেশের মতো জার্মানিতে মসজিদের আজান শুনে ইফতার করার উপায় নেই। কারণ মসজিদের সংখ্যা খুবই কম। এ ছাড়া কোনো মসজিদের আজানই বাইরে থেকে শোনা যায় না।
তবে যে কয়টা মসজিদ আছে সেগুলোতে ইফতারের সময় বিভিন্ন দেশের মুসলমানরা একসঙ্গে জড়ো হয়ে ইফতার করে। পরে তারাবির নামাজ আদায় করে। এতে মুসলমানদের মধ্যে একটা যোগাযোগ গড়ে উঠে। বার্লিনে থাকা এজাত উগান বলছেন, রোজার সময় অনেক দেশের মুসলমানের সঙ্গে কথাবার্তা হয়, তাদের নিজ নিজ দেশের সংস্কৃতি ও খাবারের সঙ্গে পরিচিত হওয়া যায়।
ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৭
এমএইউ/