ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

৮৬ বছর যাবত রমজানে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
৮৬ বছর যাবত রমজানে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু ৮৬ বছর যাবত রমজানে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু

চাঁদপুর: পবিত্র মাহে রমজান কোরআন নাজিলের মাস। সে হিসেবে দেশ-বিদেশের অনেক স্থানে সহিহশুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষার আসর কিংবা কোরআন পড়ার ব্যবস্থা করা হয়।

কিন্তু একই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত বয়স্ক এবং জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য বিশুদ্ধ কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থার আয়োজন খুব কমই দেখা যায়। কিন্তু এটাও সম্ভব।

পবিত্র কোরআন শিক্ষার এমন আয়োজনের মহান খেদমত চালু আছে চাঁদপুর জেলার বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরুয়া গ্রামের জামিয়া কুরআনিয়া মুমিন বাড়ী মাদরাসায় ৮৬ বছর যাবত।

মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জামিয়া কুরআনিয়া মুমিন বাড়ী মাদরাসাটি ১৯৩২ সালে প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম ক্বারী ইবরাহীম (রহ.)।

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সহিহশুদ্ধভাবে কোরআন শিক্ষা (ক্বারিয়ানা) পড়ার ব্যবস্থা চালু রয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে। পাশাপাশি রমজান মাসে বিশেষ কোরআন শিক্ষার ক্লাশে বয়স্ক এবং জেনারেল শিক্ষিতদের জন্য সুযোগ করে দেওয়া হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শত শত মানুষ সহিহশুদ্ধভাবে কোরআন শেখার জন্য রমজান মাসে এই মাদরাসায় আসেন।
৮৬ বছর যাবত রমজানে কোরআন শিক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা চালু
কোরআন শিখতে আসা এ সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে এলাকার লোকজন খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করেন। রমজান মাসে যারা কোরআন শিখতে আসেন, তাদের মধ্য থেকে দূর্বল, মধ্যম ও কোরআন কিছু পড়তে পারেন- এমন ৩ শ্রেণিতে ভাগ করে হাতে-কলমে কোরআন শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়। সেই সঙ্গে নামাজ ও জরুরি মাসয়ালা-মাসায়েলও শেখানো হয়।  

এ বছর মাদরাসায় বিভিন্ন বয়সের প্রায় ৭শ’ শিক্ষার্থী কোরআন শিখছেন।

কোরআন শিখতে আসা শিক্ষার্থীর নুরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নামাজের জন্য কোরআনের সহিহশুদ্ধ তেলাওয়াত আবশ্যক। ছোটবেলায় কোরআন শিক্ষার সুযোগ না থাকায় রমজান মাসে কোরআন শিখার জন্য এই মাদরাসায় এসেছি। আরেক শিক্ষার্থী বলেন, এখানে যে পদ্ধতিতে কোরআন শিক্ষা দেওয়া হয়- খুব সহজেই তা আয়ত্ব করা সম্ভব।

মাদরাসার মুহতামিম হাফেজ মাওলানা ক্বারী আশরাফ আলী খান জানান, মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আমার দাদা ক্বারী ইবরাহীম (রহ.) থেকে শুরু হয়ে আমার পিতা ক্বারী আবুল বাশার খান রমজান মাসে সাধারণ মানুষের জন্য এই কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা চালু রেখেছেন। কিয়ামত পর্যন্ত সহিহশুদ্ধভাবে এভাবে কোরআন শিক্ষা ব্যবস্থা যেন চালু রাখতে পারি- সে জন্য সবার দোয়া কামনা করছি।

জামিয়া কুরআনিয়া মুমিন বাড়ী মাদরাসার সহিহ কোরআন শিক্ষা এবং শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা দেশবাসীর জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।

ইসলাম বিভাগে লেখা পাঠাতে মেইল করুন: [email protected]

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, জুন ১০, ২০১৭
এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।