ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অপার মহিমার রমজান

রাতের শেষে তাহাজ্জুদ, অশেষ রহমতের নামাজ

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৬ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০১৮
রাতের শেষে তাহাজ্জুদ, অশেষ রহমতের নামাজ .

আল্লাহ তার বান্দার জন্য বিভিন্ন ধরনের ইবাদত প্রবর্তন করেছেন। এতে তারা যেমন বহুমুখী ইবাদত করে বেশি বেশি পূণ্য অর্জন করবে, তেমনি এক ধরনের ইবাদতে একঘেয়েমি লাগলে অন্য ধরনের ইবাদতে সাগ্রহে মনোনিবেশ করতে পারবে। এসব ইবাদতের মধ্যে কিছু রয়েছে ফরজ, যাতে কোনো ধরনের কমতি বা ত্রুটি করা যাবে না। আবার কিছু রয়েছে সুন্নত-নফল, যা ফরজে পরিপূর্ণতা ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সহায়ক। এসব ইবাদতের মধ্যে অন্যতম হলো নামাজ।

আল্লাহ বান্দার ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যা কার্যত পাঁচ হলেও মিজানের পাল্লায় ৫০। আল্লাহ সুন্নত-নফল নামাজকে ফরজ নামাজের ক্ষতিপূরণ এবং তার নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসেবে স্থির করেছেন।

এসব সুন্নত-নফলের মধ্যে রয়েছে কিছু সুন্নত নামাজ, যা ফরজ নামাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত।

যেমন ফজরের ফরজ নামাজের আগে দুই রাকাত, জোহরের ফরজের আগে চার রাকাত ও পরে দুই রাকাত। মাগরিবের ফরজের পর দুই রাকাত ও এশার ফরজের পর দুই রাকাত। আর নফল নামাজের অন্যতম হলো কিয়ামুল লাইল (রাতের নামাজ বা তাহাজ্জুদ)। তাহাজ্জুদ আদায়কারীদের প্রশংসা করে আল্লাহ বলেন, ‘আর যারা তাদের রবের জন্য সিজদারত ও দণ্ডায়মান হয়ে রাত যাপন করে। ’ (সুরা ফুরকান : ৬৩)।

আল্লাহ আরও বলেন, ‘তাদের পার্শ্বদেশ বিছানা থেকে আলাদা হয়। তারা ভয় ও আশা নিয়ে তাদের রবকে ডাকে। আর আমি তাদের যে রিজিক দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় করে। অতঃপর কোনো ব্যক্তি জানে না তাদের জন্য চোখজুড়ানো কী জিনিস লুকিয়ে রাখা হয়েছে, তারা যা করতো, তার বিনিময়স্বরূপ। ’ (সুরা সিজদা: ১৬-১৭)।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘ফরজ নামাজের পর বেশি ফজিলতপূর্ণ হলো রাতের নামাজ। ’ (মুসলিম: ১১৬৫)। অন্য হাদিসে তিনি বলেন, ‘হে লোক সকল সালামের প্রসার ঘটাও, গরিব-দুঃখীদের খাদ্য দান কর, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ, রাতে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে, তখন নামাজ আদায় কর, তাহলে নিরাপদে জান্নাতে প্রবেশ করবে। ’ (তিরমিজি: ২৪৫৮)। তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার ইচ্ছা বা আগ্রহ প্রায় সব মোমিনের হৃদয়েই সুপ্ত থাকে।

কর্মব্যস্ত জীবনে শেষ রাতে ঘুম থেকে ওঠার সুযোগ হয় না বলে তা পড়তে পারেন না। রমজানে সেহরির জন্য সবাইকে যেহেতু শেষ রাতে জাগতেই হয়, তাই রমজান মাস তাহাজ্জুদে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য সুবর্ণ সুযোগ।

প্রতিদিন সেহরির কয়েক মিনিট আগে উঠে অজু করে মাত্র দুই রাকাত নামাজ পড়েও আমরা তাহাজ্জুদের অশেষ সওয়াব পেতে পারি। হে আল্লাহ আমাদের তাহাজ্জুদ পড়ার তৌফিক দিন।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪০ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১৮
এমএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।