এ বছরের টিভি নাটকে উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নতি চোখে পড়েছে কি? আগের তারকারা তো আছেনই; যুক্ত হয়েছেন নতুন নির্মাতা ও তারকা। প্রত্যেকেই কাজ করছেন নিজের মতো করে।
প্রথমে বলতে চাই এ বছরে টিভি নাটকে তেমন উত্তোরণ হয়নি। আর নতুন কোন উল্লেখযোগ্য ভালো অভিনয়শিল্পীও বের হয়ে আসছে না। তবে উত্তোরণের জায়গা তৈরি হচ্ছে। অনেক উৎসাহী ছেলে মেয়ে পাওয়া যাচ্ছে। তবে সাড়াজাগানো মূলক কাজ নতুন অভিনয়শিল্পীদের কাছে পাওয়া যায়নি এ বছর। তবে নতুন অনেক ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকের সম্ভাবনা আছে।
আর বিভিন্ন উৎসবে সাত খন্ড বা পাঁচ খন্ডের নাটক তৈরি করতে দেখা গেছে। কারণ ধারাবাহিকের তুলনায় এ কাজগুলোর প্রতি মানুষের উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। তবে বাইরের চ্যানেলগুলোর সাথে আমাদের ধারাবাহিক নাটকের একটি বিশাল প্রতিযোগিতা রয়েছে।
অনেক নির্মাতার এসব চ্যালেঞ্জের জন্য ভিন্ন ধরনের নাটক নির্মাণ করছেন, যার মধ্য থেকে বেশকিছু কাজ প্রশংসিত। আর নাটকে বিজ্ঞাপনের একটি প্রভাব তো আছেই। তবে প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোতো বিজ্ঞাপন ছাড়া অচল। অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন তো কারোই পছন্দ না। তবে অনেক টিভি চ্যানেলকে টাইমিং দিয়ে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণ এর চেষ্টা করেতে দেখা গেছে। মানে নাটকে টাইম দিয়ে ফিরে আসা।
এটাও একটা ভালো দিক ছিল। আর অনেক নির্মাতারাই ভালো বাজেটের কারণে ভালো কাজ উপহার দিতে পারছে না। তাই চিন্তা ভাবনার ক্ষেত্রে নিত্যনতুন বিষয় আসলেও শেষমেষ অনেকের কাজ ভালো হচ্ছে না। আর প্রাইভেট টিভি চ্যানেলগুলোতো বিজ্ঞাপন ছাড়া অচল। আর দর্শক তো বিজ্ঞাপন প্রচন্ড অপছন্দ করে। তাই কম বিজ্ঞাপন দিয়ে দর্শককে কাজগুলো দেখানোর চেষ্টা করা উচিত। অনেক চ্যানেল-ই চেষ্টা করছে। তাই বলতে চাই, নাটকে তেমন উত্তোরণ হয়নি ২০১৩ এ। তবে উত্তোরণের জায়গা তৈরি হচ্ছে। সামগ্রিক ব্যবস্থার উন্নয়ন, নাটক প্রচারে বিজ্ঞাপন নিয়ন্ত্রণসহ নানা বিষয়ে আরো মনোযোগী হতে হবে।
লেখক : অভিনেতা ও সংগঠক
অনুলিখন : কামরুজ্জামান মিলু
বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৬ ঘণ্টা, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৩
সম্পাদনা : গোলাম রাব্বানী, বিভাগীয় সম্পাদক বিনোদন