কক্সবাজার: কক্সবাজারে এক বছরে ১৯০টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এসব অস্ত্র উদ্ধারের পুলিশ, র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা গেছেন ৮ জন ডাকাত।
উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের মধ্যে কক্সবাজার জেলা পুলিশ উদ্ধার করেছে ২টি কাটা রাইফেল, ৫২ টি দেশীয় বন্দুক, ৯টি কাটা বন্দুক, ২টি দেশীয় রিভলবার, ২টি দেশী পিস্তল, ৫টি পাইপগান, ৭৮টি এলজি ও ৩৪টি অন্যান্য অস্ত্র । এছাড়া ৫৭০টি গুলি, ২১২টি কার্তুজও উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহমদ বাংলানিউজকে জানান, জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে দিন রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে পুলিশ। এরই অংশ হিসাবে উল্লেখযোগ্য আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এর পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্রধারীদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। বলতে গেলে পুরো কক্সবাজার জেলা আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রয়েছে।
বিজিবির কক্সবাজারস্থ ১৭ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক খালিদ হাসান বাংলানিউজকে জানান, গত এক বছরে ১টি পিস্তল ২২টি গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
বিজিবির টেকনাফস্থ ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক আবুজার আল জাহিদ বাংলানিউজকে জানিয়েছেন, চলতি বছরের ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ১টি এলজি ও ৪টি কাটা বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি জানান, বিজিবি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে।
পুলিশের তথ্য মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জানুয়ারিতে চকরিয়ার পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে এক ডাকাত এবং ১৩ জানুয়ারি টেকনাফে বন্দুক যুদ্ধে আরেক ডাকাতের মৃত্যু হয়।
১৫ ফেব্রুয়ারি মহেশখালীতে র্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান আরেক ডাকাত। ২১ মে মহেশখালীতে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান আরো এক ডাকাত। ২০ জুন পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান এক জলদস্যু। ২৪ অক্টোবর টেকনাফের পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান ২ ডাকাত।
সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর মহেশখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে মারা যান আরো এক ডাকাত। এছাড়া অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে এ এক বছরে পুলিশ যুদ্ধের ঘটনায় পুলিশসহ আহত হয়েছে অনন্ত ৫০ জন।
বাংলাদেশ সময় : ০৮৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০১৩
সম্পাদনা: শরিফুল ইসলাম, নিউজরুম এডিটর