মাগুরা: মাগুরায় আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আদালতে চার্জশিট নিয়ে শুনানি হয়েছে। শুনানিতে চার্জ শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২০ এপ্রিল) সকালে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক এম জাহিদের আদালতে এ শুনানি হয়। শুনানিতে হিটু শেখসহ সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়।
সকালে পুলিশের একটি প্রিজন ভ্যানে মামলার চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ১৩ এপ্রিল পুলিশ আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলার প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশ। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার দেবর রাতুল শেখকে ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
জেলা দায়রা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইসলাম মুকুল বলেন, আগামী ২৩ এপ্রিল চার্জের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। আসামিদের নামে চার্জ হবে এবং অল্প সময়ের মধ্যে আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষী প্রক্রিয়া শুরু হবে।
ঘটনাটি ঘটেছে মাগুরা সদর উপজেলায়। শিশুটি বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুরের কাছে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার শিকার হয়। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে মৃত্যু হয় আট বছরের শিশুটির। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হিটু শেখসহ চারজনের নামে মামলাটি করেন। পরে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।
ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সে মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মায়ের করা মামলায় শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ (১৯), সজীব শেখের ছোট ভাই রাতুল শেখ (১৭) ও সজিবের মা জাহেদা বেগম (৪০), বাবা হিটু শেখকে (৪৭) আসামি করা হয়। তারা চারজনই বর্তমানে কারাগারে আছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫ৃ
এসআই