ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০১ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা, মরদেহ মিলল রেললাইনে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০:১২, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা, মরদেহ মিলল রেললাইনে বাদশা হোসেন

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় বাদশা হোসেন প্রমাণিক (৫৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে নিজ বাড়ির সামনে থেকে অপহরণের পর গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত আনুমানিক সোয়া ৯টার দিকে ঈশ্বরদী-খুলনা রেলপথের বাঘইল কলপাড়া সাঁকোর মুখের সামনে থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী রেলওয়ে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকালে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

নিহত বাদশা উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের যুক্তিতলা পূর্বপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পাকশী ইপিজেড রোডের মিঠুন স্টোরের মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন।  

নিহতের ছেলে মিঠুন প্রমাণিক বলেন, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে আমার বাবাকে ঈশ্বরদীর তালতলা সাঁড়া গোপালপুর এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি দোকান থেকে অস্ত্রের মুখে চোখ বেঁধে অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। আমরা তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে ঈশ্বরদী থানায় সাধারণ ডায়েরি করে বিভিন্ন এলাকায় খোঁজখবর করতে থাকি।

পরে রাতে খবর আসে, বাঘইলের সাঁকোর মুখে রেললাইনের ওপর একটি মরদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই গলা কাটা অবস্থায় আমার বাবার নিথর মরদেহ পড়ে আছে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী রেলওয়ে পুলিশে খবর দিলে তারা মরদেহটি উদ্ধার করে।  

মিঠুন আরও বলেন, আমার বাবা দীর্ঘদিন থেকে মুদি ব্যবসায়ী ছিলেন। পাশাপাশি তিনি জমি কেনা-বেচার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। কিছুদিন ধরে ঈশ্বরদী সাঁড়াগোপালপুর মহল্লার কয়েকজনের সঙ্গে জমিজমার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছিল। আমরা ধারণা করছি, শত্রুতার জেরে অস্ত্রের মুখে তারা বাবাকে অপহরণের পর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করে মরদেহটি রেললাইনে ফেলে রেখে গেছে। সুষ্ঠু তদন্ত করে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।  

এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান জিয়া বাংলানিউজকে জানান, সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ঈশ্বরদী-খুলনা রেলরুটের বাঘইল সাঁকোর মুখ এলাকার রেললাইন থেকে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একটি মরদেহ উদ্ধার করে ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানা পুলিশ। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে মরদেহটি পাবনা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় ঈশ্বরদী রেললাইন থানায় ইউডি (অপমৃত্যু) মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।  

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।