ঢাকা, শুক্রবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৬ জুন ২০২৫, ০৯ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে ৫০ পরিবার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:৫৫, জুন ৫, ২০২৫
ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, আতঙ্কে ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে ৫০ পরিবার

কুড়িগ্রাম: টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে গেছে। এতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল।

সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

জেলার চিলমারী উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চর শাখাহাতী এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে ৫০টি পরিবার তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার সরকারি স্থাপনাসহ আবাদি জমি ও বসতবাড়ি।  

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) শাখাহাতী এলাকায় দেখা গেছে, স্থানীয়রা তাদের বসতবাড়ি সরিয়ে নিচ্ছেন। সকাল থেকে মাথায় করে ঘরের বেড়া-চালা-খুঁটি খুলে খুলে নিরাপদ স্থানে নেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের তাণ্ডবে ভেঙে গেছে চিলমারী ইউনিয়নের ৫০টি পরিবারের ঘরবাড়ি। আবাদি জমি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, হুমকির মুখে পড়েছে শাখাহাতী কমিউনিটি ক্লিনিক।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনদিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে শাখাহাতী এলাকার মমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জাবের হোসেন, ছয়নুদ্দীন, রঞ্জু মিয়া, নূর আলম, রঞ্জু, সুজা মিয়া, ছফিয়ালসহ আরও বেশ কয়েকজনের বসতভিটা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। তিনদিনে ভেঙে গেছে মসজিদ, মাদরাসা, কবরস্থান, এনজিওর অফিস। এছাড়া গত বছর ভেঙে গেছে ৩০০টি পরিবারের ঘরবাড়ি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ৩৫ বছর ধরে আমরা এ চরে থাকি। নদীভাঙনের কারণে মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে। আমি কয়েকজনকে থাকতে জমি দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। কোথায় ঠাঁই নেবে, এটাই তাদের চিন্তা।

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সবুজ কুমার বসাক বলেন, এ ব্যাপারে মিটিং করা হয়েছে। ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকানোর জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ পাঠানো হচ্ছে।

এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।