ঢাকা, শুক্রবার, ১১ আশ্বিন ১৪৩২, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৭

সারাদেশ

চাচিকে গলা কেটে হত্যার পর ঘরের পাটাতনে লুকিয়ে ছিলেন ভাতিজা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:৪৭, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৫
চাচিকে গলা কেটে হত্যার পর ঘরের পাটাতনে লুকিয়ে ছিলেন ভাতিজা লক্ষ্মীপুরের মানচিত্র

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরে রাশেদা বেগম (৬০) নামে এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে।  

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন তার ভাতিজা ইমন হোসেন।

শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত রাশেদা বেগম পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের লাহারকান্দি এলাকার মৃত মোবারক হোসেনের স্ত্রী।  

ইমন একই বাড়ির সেলিমের ছেলে। রাশেদা ও ইমন সম্পর্কে তারা চাচি-ভাতিজা।

পুলিশ জানায়, রাশেদা বেগম বাড়িতে একাই থাকতেন। শুক্রবার ফজরের নামাজের জন্য ওজু করতে ঘর থেকে বের হন রাশেদা। এসময় ইমনকে ঘরের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তিনি। পরে রাশেদা তাকে নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জোর করে রাশেদার ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর দরজা আটকে বটি দিয়ে রাশেদা বেগমকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন ইমন। এসময় রাশেদার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে রাশেদাকে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘরের পাটাতনে লুকিয়ে পড়েন তিনি।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘরের পাটাতনের নিচ থেকে ইমনকে আটক করে।

ইমন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, দীর্ঘদিন ধরে তার সঙ্গে চাচি রাশেদার নানা বিষয় নিয়ে মতবিরোধ চলছিল। এর জের ধরে তাকে হত্যা করেছেন তিনি।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. রেজাউল হক বলেন, ইমন পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে আটক করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।