ঢাকা, সোমবার, ১০ আষাঢ় ১৪৩২, ২৩ জুন ২০২৫, ২৬ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা, ওসিসহ আরও ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৭, জুন ২২, ২০২৫
প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা, ওসিসহ আরও ৪ পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার খোলা অবস্থায় পাওয়া থানায় রক্ষিত প্রশ্নপত্রের ট্রাংকটি

নওগাঁর ধামইরহাট থানায় রক্ষিত প্রশ্নপত্রের ট্রাংক খোলা অবস্থায় পাওয়ার ঘটনায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আরও চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

রোববার (২২ জুন) নওগাঁর পত্নীতলা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শরিফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

প্রত্যাহার হওয়া চার পুলিশ সদস্যরা হলেন- ধামইরহাট থানার ওসি আব্দুল মালেক, কনস্টেবল মো. রেজুয়ানুর রহমান, আতিকুর রহমান ও মেহেদী হাসান।

এ ঘটনায় এর আগে একই থানার আরও দুই পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়। তারা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকিরুল ইসলাম ও কনস্টেবল ইকবাল হোসেন। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এ নিয়ে ছয়জন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হলো।  

এএসপি শরিফুল ইসলাম জানান, আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার কয়েকটি প্রশ্নপত্রের বাক্স ধামইরহাট থানা হেফাজতে রাখা হয়। নিয়ম অনুযায়ী এগুলো থানার মালখানা কক্ষে সংরক্ষণের কথা থাকলেও, তা রাখা হয়েছিল আসামিদের হাজতখানায়। গত ১৭ জুন রাতে এক মাদক মামলার আসামিকে ওই হাজতে রাখা হয়। গভীর রাতে ওই আসামি ট্রাংকের সিলগালা খুলে প্রশ্নপত্র বের করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলেন। কয়েকটি প্রশ্নপত্র ছিঁড়েও ফেলেন। পরদিন ১৮ জুন সকালে বিষয়টি কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তার নজরে এলে সংশ্লিষ্ট এসআই ও কনস্টেবলকে নওগাঁ পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। পরে তদন্ত ও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে শনিবার শনিবার ধামইরহাট থানার ওসিসহ আরও চার পুলিশ সদস্যকে একই ভাবে ক্লোজ করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে আরও কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এএসপি।

তিনি আরও জানান, ট্রাংক খুলে সরকারি সম্পদ বিনষ্টের ঘটনায় অভিযুক্ত আসামির বিরুদ্ধে নতুন একটি মামলা করা হয়েছে। ওই আসামি হত্যাকাণ্ডের এক মামলায় গ্রেপ্তার ছিলেন এবং গত ১৮ জুন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার ইতিহাস দ্বিতীয়পত্রের প্রশ্নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ ন ম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, ইতিহাস বিষয়ের যে সেটটি থানায় নষ্ট হয়েছে সেটিতে আর পরীক্ষা নেওয়া হবে না। বিকল্প প্রশ্নপত্রে আগামী ১৯ জুলাই রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

নওগাঁ জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘটনার পর জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাদিয়া আফরিন জানান, প্রশ্নপত্রের প্যাকেটে মোট ৫০টি কপি ছিল। সবগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকটি ছেঁড়া থাকলেও কোনো প্রশ্নপত্র হারিয়ে যায়নি।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।