ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে গাছ থেকে ফুল ছেঁড়া নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের সাত পুলিশ সদস্যসহ ৩০ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে দোকানপাট, বাড়িঘর ভাঙচুর ও একটি বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফের সংঘর্ষ এড়াতে বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় ১০/১২ দিন আগে মহাজনবাড়ি ও সরকারবাড়ির মধ্যে ফুটবল খেলা নিয়ে ঝগড়া হলে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওই দুই গোষ্ঠীর ছেলেদের মধ্যে আবারো ফুটবল খেলা চলছিল। এ সময় স্থানীয় মহাজনবাড়ির নরুল হকের ছেলে ইয়াছিন পাশের কবরস্থানের একটি গাছ থেকে ফুল ছিঁড়ে নিয়ে আসে। এরপর সরকার বাড়ির ফাইজুর রহমানের ছেলে আসিফ স্কুলের আঙিনা থেকে একটি ফুল ছিঁড়ে। এ সময় ফুল ছিঁড়া নিয়ে উভয়ের মধ্যে তর্কবির্তক হয়। একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরে এই বিষয়টি গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় মহাজনবাড়ির পক্ষে মোল্লা বাড়ি, আছিরের বাড়ি ও সরকারবাড়ির পক্ষে জাকির মিয়ার বাড়ি সংর্ঘষে অংশ নেন। পরে রাতে দুই পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করলে ইটপাটকেলের আঘাতে তাদের ব্যবহৃত সরকারি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংঘর্ষের সময় সাত পুলিশসহ উভয়পক্ষের অতন্ত ৩০ জন আহত হয়।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে বুধবার সকালে থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরএ