ঢাকা, শনিবার, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২, ২৮ জুন ২০২৫, ০২ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

খুলে ফেলা হচ্ছে যমুনা সেতুর রেললাইন, বড় করা হবে সড়ক সেতু

স্বপন চন্দ্র দাস, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১:১৮, জুন ২৭, ২০২৫
খুলে ফেলা হচ্ছে যমুনা সেতুর রেললাইন, বড় করা হবে সড়ক সেতু রেললাইন খুলে ফেলা হচ্ছে

সিরাজগঞ্জ: যমুনা সেতু থেকে রেললাইন খুলে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে।  যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর সড়ক সেতুর ওপর পরিত্যক্ত রেললাইন খুলে ফেলছে কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) টাঙ্গাইল জেলার ভুয়াপুর প্রান্ত থেকে সেতুর রেললাইনের নাট-বল্টু খোলা শুরু হয়েছে।  

বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) ও যমুনা রেলসেতুর প্রকল্প পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

তিনি বলেন, গত ১৮ মার্চ যমুনা রেলসেতু চালু হওয়ার পর সড়ক সেতুর পাশের রেলসেতুটিতে দিয়ে আর ট্রেন চলাচল করছে না। ফলে ওই রেললাইনের আর প্রয়োজনীয়তা নেই।  

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, রেলওয়ে তাদের ট্র্যাকগুলো খুলে নিচ্ছে। আমাদের পরিকল্পনা আছে, সড়ক সেতুকে প্রশস্ত করার। রেললাইন খুলে নেওয়া হলে সড়ক সেতুতে আরও সাড়ে তিন মিটার জায়গা বাড়বে। আমরা সাড়ে তিন মিটার মূল সড়ক সেতুর সঙ্গে সংযোগ করব। এতে উভয় লেনে ১ দশমিক ৭৫ মিটার বাড়বে। এ ধরনের সেতুর আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড হলো ৭ দশমিক ৩ মিটার। কিন্তু বর্তমানে সেতুর প্রতি লেনের প্রশস্ততা রয়েছে ৬ দশমিক ৩ মিটার করে। এ কারণেই যানজট আর দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। রেললাইন অপসারণের পর প্রতি লেন ৮ মিটার প্রশস্ত হবে।  

তিনি বলেন, তবে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে। প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।  

জানা যায়, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতুটি উদ্বোধন হলেও সেখানে কোনো রেলপথ ছিল না। পরে আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সেতুর ওপর উত্তরপাশে লোহার অ্যাঙ্গেল দিয়ে তৈরি করা হয় রেলসেতু। ২০০৪ সালের ১৫ আগস্ট যমুনা সেতুতে আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হয়। দ্রুতগতিতে ট্রেন চলার কারণে ২০০৬ সালে সেতুতে ফাটল ধরে। পরে ট্রেন চলাচলের গতিসীমা করা হয় ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। এতে একটি ট্রেনকে সেতু পার হতে ২২ মিনিট সময় লাগতো। এ কারণে সেতুর দুই প্রান্তে ট্রেনের জট বেঁধে যেত।  

এ সমস্যা সমাধানে ২০২০ সালের ৩ মার্চ যমুনা নদীর ওপর উজানে আলাদা রেল সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওই বছর ২৯ নভেম্বর রেল সেতুটি নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর ২০২১ সালের মার্চে যমুনা সেতুর ৩০০ মিটার উজানে রেলসেতুর পিলার নির্মাণে পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়।

১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেলসেতুটি ২০২৫ সালের ১৮ মার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকেই মূল সড়ক সেতুর ওপর থেকে রেললাইন খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় রেল কর্তৃপক্ষ।  

এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।