ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২, ০৪ জুলাই ২০২৫, ০৮ মহররম ১৪৪৭

সারাদেশ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মধ্যপাড়া পাথর খনির উত্তোলন কার্যক্রম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৩১, জুলাই ৩, ২০২৫
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ মধ্যপাড়া পাথর খনির উত্তোলন কার্যক্রম সংগৃহীত ফাইল ছবি

নীলফামারী: খনি শ্রমিকদের সঙ্গে চলমান অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া পাথর খনির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেড কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) ও জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড (জিসিএল)।

এনটিসি খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি গত বুধবার (২ জুলাই) রাতে নোটিশ টাঙিয়ে পাথর খনির কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেয়।

 

ঘোষণা অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে খনির সব কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী ডিএম জোবায়েদ হোসেন এ সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশে বলা হয়, কতিপয় শ্রমিকের অন্যায় ও অযৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে তারা জোর করে অন্যান্য সাধারণ শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধা দিচ্ছেন এবং খনির অভ্যন্তরে অবৈধ ধর্মঘটে অংশ নিচ্ছেন। ফলে খনিতে কর্মরত বিদেশি বিশেষজ্ঞরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং খনির যন্ত্রপাতি ও স্থাপনার ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।

প্রশাসনিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রচেষ্টা চালানোর পরও শ্রমিকদের একটি অংশ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মানতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও নাশকতার আশঙ্কা তৈরি করছে। এ পরিস্থিতির কারণে খনি কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না।

বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১৩(১) ধারা অনুযায়ী, খনি কর্তৃপক্ষ উৎপাদন কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে। বন্ধকালীন সময়ে, শ্রমিক-কর্মচারীরা কোনো বেতন, ভাতা বা অন্যান্য সুবিধা পাবেন না। তবে জরুরি দাপ্তরিক কার্যক্রম ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা শ্রমিক-কর্মচারীদের নির্ধারিত ডিউটি রোস্টার অনুযায়ী কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জিটিসির এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানিয়ে বলেন, শ্রমিকদের প্রোডাকশন প্রফিট বোনাস দেওয়ার দাবিটি অযৌক্তিক, কারণ এখানে কাজ করা সবাই অস্থায়ী ভিত্তিতে কর্মরত। পাথর খনির উন্নয়ন ও উৎপাদনে দুই শতাধিক বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞ, দেশীয় প্রকৌশলী, প্রায় ৮০০ দক্ষ খনি শ্রমিক ও দুই শতাধিক কর্মকর্তা তিন শিফটে কাজ করছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে খনিটি পাঁচবার লাভের মুখ দেখেছে যা এখনও অব্যাহত রয়েছে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।