যশোর: আওয়ামী লীগ আমলের এমপি বর্তমানে পলাতক কাজী নাবিল আহমেদের ভাই এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সাবেক পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটি থেকে অপসরণের দাবি জানিয়েছেন জেলার ক্রীড়াঙ্গণের মানুষেরা।
তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, অবিলম্বে কাজী ইনাম আহমেদকে অপসরণ করা না হলে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সকল কার্যক্রম অচল করে দেওয়া হবে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিক্ষুব্ধরা কাজী ইনামের অপসরণ দাবিতে প্রেসক্লাব যশোরের সামনের রাস্তায় মানববন্ধন থেকে এই হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। মানববন্ধনে অংশ গ্রহণ করেন সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড় এবং ক্রীড়া সংগঠকেরা।
বক্তারা অভিযোগ করেন, কাজী ইনাম পূর্বেও জেলা ক্রীড়া সংস্থা (জেডিএস)’র সাথে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু, তিনি কখনো যশোরের ক্রীড়া উন্নয়নে ভূমিকা রাখেননি। বরং তিনি খেলোয়াড়দের উন্নয়ন ও মাঠ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে কাজ করেছেন।
বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেখ হাসিনার জনসভা আয়োজনের জন্য যশোর স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভেঙে ফেলা হয়। সেসময় মাঠেরও ব্যাপক ক্ষতিসাধন ঘটে। ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বে থেকে সেসময় কাজী ইনামরা সেই অন্যায়ে সহযোগিতা করেছেন।
যশোর জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাহতাব নাসির পলাশ বলেন, কাজী ইনাম আহমেদকে অবিলম্বে কমিটি থেকে প্রত্যাহার না করা হলে তারা আরো কঠোর আন্দোলনে যাবেন। প্রয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার সৈয়দ মাশুক সাথী, জেলা দলের সাবেক ক্রিকেটার মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, মোস্তাক নাসির টনি, খান শফিক রতন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা আখিরুজ্জামান সান্টু, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এ বি এম আখতারুজ্জামান, ক্রীড়া সংগঠক হিমাদ্রী সাহা মনি এবং শহিদ হোসেন লাল বাবু।
বক্তারা জেলা প্রশাসক ও ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়কের প্রতি আহ্বান জানান, যেন দ্রুত কাজী ইনামকে অপসরণ করে একজন ক্রীড়াবান্ধব ব্যক্তিকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অন্যথায় ক্রীড়াঙ্গণের সকল স্তরের মানুষ আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হবে বলেও জানান তারা।
এসএইচ