রাঙামাটি: বৃষ্টিপাতের কারণে কাপ্তাই হ্রদের পানির উচ্চতা বাড়তে থাকায় উজান ও ভাটি এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে কাপ্তাই বাঁধের নিরাপত্তার স্বার্থে বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বাঁধের ১৬টি গেট ছয় ইঞ্চি উঠিয়ে পানি নিষ্কাশন শুরু করা হয়েছে।
এতে নয় হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে বলে নিশ্চিত করেছেন, কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান।
বর্তমানে হ্রদের ইনফ্লো ও বৃষ্টিপাতসহ সামগ্রিক পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
পরবর্তী গেটগুলো বাড়ানো বা বন্ধ করা হবে। পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ৩২ হাজার পানি নিষ্কাশিত হচ্ছে। হ্রদে পানি রয়েছে ১০৮ দশমিক ৪৫ ফুট মিনসসি লেভেল পানি।
এর আগে গত ১০ সেপ্টেম্বর টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রভাহিত হওয়ায় বাঁধের ১৬ জলকপাট সাড়ে ৩ ফুট খুলে দিয়ে ৬৩ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া হয়েছিল।
টানা ১০ দিন পানি ছাড়ার পর ১৯ সেপ্টেম্বর সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের জলকপাট অবশেষে বন্ধ করা হয়েছিল।
কাপ্তাই হ্রদের পানি বাড়ায় গত ২০ আগস্ট রাত ৮টা থেকে ১৬ জলকপাট খুলে পানি ছাড়া হয়েছিল। একটানা চারদিন পানি ছাড়ার পর ২৩ আগস্ট বিকেল ৫টায় পানি ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
এর আগে গত ০৪ আগস্ট কাপ্তাই হ্রদের ১৬ জলকপাট খুলে পানি ছাড়া হয়েছিল। একটানা আটদিন পানি ছাড়ার পর ১২ আগস্ট সকাল ৮টায় কাপ্তাই বাঁধের ১৬ জলকপাট দিয়ে পানি ছাড়া বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে ২৩০ থেকে ২৪৫ মেগাওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করার সক্ষমতা রয়েছে।
এসআরএস