ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

একাত্তর

৯ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ঈশ্বরগঞ্জ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩২১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৬
৯ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ঈশ্বরগঞ্জ প্রতীকী ছবি

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে ঈশ্বরগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।

ময়মনসিংহ: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস ৯ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের এ দিনে ঈশ্বরগঞ্জ পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয়।

নিজ এলাকাকে হানাদার মুক্ত করতে একাত্তরের ১৬ অক্টোবর রাতে কাজী আলম, আলতাব ও হাবিবুল্লাহ খান নামের তিন কোম্পানির মুক্তি সেনারা ময়মনসিংহ-ভৈরব রেললাইনের মাইজহাটি ব্রিজটি ডিনামাইট ছুড়ে বিধ্বস্ত করেন। একইসঙ্গে ওই এলাকার টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন করে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের রামগোপালপুরের কটিয়াপুরি ব্রিজটিও ভেঙে দেন মুক্তিযোদ্ধারা। তবে এ ব্রিজটি ভাঙতে ভোর হয়ে যায়।

প্রত্যুষে মুক্তিসেনারা নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক হাসিম উদ্দিন আহাম্মদের পরামর্শে থানা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই তিন কোম্পানির মুক্তিসেনারা সড়ক পথে অগ্রসর হয়ে ঈশ্বরগঞ্জের দওপাড়া শ্মশান ঘাটে এসে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা আক্রমণ শুরু করেন।

পাক হানাদারদের সঙ্গে শুরু হয় তুমুলযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পনায় ত্রুটির কারণে ভেঙে পড়ে চেইন অব কমান্ড। ফলে তাদের এই অভিযান ব্যর্থ হয়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সম্মুখযুদ্ধে পাকহানাদার ও রাজাকার-আল শামসদের হাতে প্রাণ দেন সাত জন মুক্তিযোদ্ধা।

শহীদ হন শামসুল হক, আব্দুল মান্নান, আব্দুল খালেক, দুলাল, মতিউর রহমান, আবু তাহের ও হাতেম আলী।

শহীদদের রক্তের বদলা নিতে মুক্তিযোদ্ধারা ৮ ডিসেম্বর পুনরায় সুসংগঠিত হয়ে থানা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ভয়াবহ আক্রমণের মুখে পাকহানাদাররা ভীত হয়ে গভীর রাতে থানা থেকে পালিয়ে যায়। শত্রু মুক্ত হয় ঈশ্বরগঞ্জ। স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ে ওড়ানো হয় স্বাধীনতার পতাকা।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৯, ২০১৬
এমএএএম/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।