বড় পর্দায় তখন চলছিল মুক্তিযুদ্ধের একটি প্রামাণ্য চিত্র। বড় পর্দায় ভেসে ওঠা বঙ্গবুন্ধ শেখ মুজিবুর রহমানের ও বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি ও কুচকাওয়াজের দৃশ্য জারিয়াকে মুগ্ধ করেছে।
ইতিহাসের অনেক কিছু হয়তো শুনছে সে, কিন্তু এবারই প্রথম দেখার সুযোগ হয়েছে তার। শুধু জারিয়া নয়, বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা বয়সী সাধারণ মানুষকে ইতিহাস দেখার সুযোগ করে দিয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি মানুষর কাছে ইতিহাস পৌঁছে দিতে তাদের পক্ষ থেকে মহাসড়ক জুড়ে বসানো জায়ান্ট স্ক্রিন।
কিশোরগঞ্জ বাজিতপুর পৌর মেয়র কন্যা জারিয়া বাবা-মায়ের কাছে শুনেছে এ দেশকে বাঁচাতে যুদ্ধ করে অনেক মানুষ শহীদ হয়েছেন। তা না হলে অন্য দেশের মানুষ এদেশের সবাইকে মেরে ফেলতো।
জারিয়া বাংলানিউজকে জানায়, তাদের জন্য সবাই দোয়া করে ও ফুল দিয়ে সম্মান জানায়। সেজন্য বাবা-মাসহ আমরাও এসেছি তাদের ফুল দিতে।
‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না হলে এদেশ কখনও জিততে পারতো না। তাই যখন তাকে দেখায় খুব ভালো লাগে’, আবেগী কণ্ঠে জানায় জারিয়া।
সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধ্য এলাকা থেকে আমিন বাজার পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার মহাসড়কে ২৬টি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। একটি বেসরকারি ব্যাংকের সহযোগিতায় এসব জায়ান্ট স্ক্রিনে চলছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও উন্নয়নের চিত্র। এই কাজে সব শ্রেণীর মানুষের কাছে প্রশংসা কুড়িয়েছে ঢাকা জেলা পুলিশ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বিধান মুখার্জি জানান, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দেশের মানুষ অনেক শুনেছে। বই পড়ে জেনেছে। কিন্তু বাস্তবে দেখিনি। পুলিশের এই উদ্যোগ মানুষকে ইতিহাস দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। এই ইতিহাস মানুষকে অনুপ্রাণিত করবে।
পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান বিধান মুখার্জি।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম) সাইদুর ইসলাম সাইদ বাংলানিউজকে জানান, গত বছরে স্মৃতিসৌধের ভিতরে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছিল। সাধারণ মানুষের আগ্রহ দেখে এবার এ সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
মহাসড়কে চলাচলকারী ও সাভারের মানুষদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে ২৬টি জায়ান্ট স্ক্রিন বসানো হয়েছে। এসব স্ক্রিনে দেশ সৃষ্টির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও উন্নয়ন তুলে ধরা হবে। জায়ান্ট স্ক্রিন বসানোর জন্য একটি বেসরকারি ব্যাংক সহযোগিতা করেছেন।
এভাবে সহযোগিতা পেলে নতুন প্রজন্মের সামনে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার আরও সুযোগ তৈরি হবে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৭
এমআইএইচ/এমজেএফ