ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

গাজীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে ‘একাত্তরের চিঠি’ পাঠের আসর

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০২৪
গাজীপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের আয়োজনে ‘একাত্তরের চিঠি’ পাঠের আসর

গাজীপুর: বসুন্ধরা শুভসংঘ গাজীপুর জেলা শাখার আয়োজনে ‘একাত্তরের চিঠি’ পাঠের অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।  

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজবাড়ী মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

 

বসুন্ধরা শুভসংঘ জেলা শাখার সভাপতি মুসাফির ইমরানের সভাপতিত্বে বসুন্ধরা শুভসংঘ, গাজীপুর জেলা শাখার বন্ধুরা চিঠি পাঠের আসরে শুভসংঘের বন্ধুরা একটি করে চিঠি পাঠ করে। মুক্তিযুদ্ধের সময়কালীন চিঠিগুলোর মধ্যে ফুটে উঠেছে একটি জাতির দেশপ্রেম, ত্যাগ ও একটি দেশের জন্মের অনিবার্যতা।

অধিকাংশ চিঠিই লেখা হয়েছে মাকে নিয়ে। মুক্তিযুদ্ধে যাওয়া ছেলে চিঠির মাধ্যমে মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছেন। এ যেন দেশমাতৃকার জন্য আত্ম উৎসর্গ জন্মদায়িনী মায়ের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া।

এ ছাড়া চিঠি লেখা হয়েছে বাবা, স্ত্রী, আদরের সন্তান ও নিকটাত্মীয়দের কাছে।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা রুমী চিঠি লিখেছেন তার মামার কাছে। সেখানে তিনি মামাকে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে তার চিন্তা।  

তিনি বলেছেন, ‘আমরা একটি ন্যায়সংগত যুদ্ধ লড়ছি। আমরা জয়ী হব।

যুদ্ধের ফলে চারদিকে যে নৃশংসতা তার চোখে পড়েছে তা নিয়ে লিখতে চাইলেও পারেননি। চিঠিটি পড়ার পরে পুড়িয়ে ফেলার জন্য অনুরোধ করলেও তার পাশা মামা কাজটি করতে পারেননি। আর এই না পারার মধ্য দিয়েই আমরা রণাঙ্গনের এক টুকরা ছবি দেখার সুযোগ পেলাম। ’

এই চিঠিগুলোতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ভয়াবহতার চিত্র যেমন ফুটে উঠেছে, তেমনি লেখকের অজান্তেই মুক্তিযোদ্ধাদের পরিকল্পনাও প্রকাশিত হয়েছে। যেমন রুমীর চিঠিতেই উল্লেখ আছে যে, বর্ষার সময় মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমণের তীব্রতা বাড়িয়ে দেবে।

নদীমাতৃক দেশের মানুষ হিসেবে পানির সঙ্গে বাঙালির নাড়ির সম্পর্ক। কিন্তু পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সদস্যরা নদীর সঙ্গে তেমন পরিচিত ছিল না। ফলে বর্ষায় যখন নদীর ভরা যৌবন তখন পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে নাস্তানাবুদ করার জন্য পরিকল্পিত আক্রমণের নকশা রচনা করা হয়েছিল।

দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা পরিবার ছেড়ে অজানার উদ্দেশে পাড়ি দিতে বাধ্য হলেও দায়িত্ববোধ তাদের ছাড়েনি। স্ত্রী, সন্তানের ভবিষ্যৎ বিষয়ক পরামর্শও তাই দেখা যায় চিঠিগুলোতে। একটি স্বাধীন দেশের জন্য যে দুর্দমনীয় আকুতি ফুটে উঠেছে চিঠিগুলোতে তাতে সন্দেহ থাকে না পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ংকর মারণাস্ত্রও এই জাতিকে দমিয়ে রাখতে পারত না।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।