পটুয়াখালীর দক্ষিণবঙ্গ বৃদ্ধাশ্রমে বসুন্ধরা শুভসংঘের উদ্যোগে ব্যতিক্রমী আয়োজন ‘ফলে-গল্পে নবীন-প্রবীণ আড্ডা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে মধুমাস উপলক্ষে আয়োজিত এ আয়োজনে স্বজনহারা ও একাকিত্বে ভোগা প্রবীণদের মুখে হাসি ফোটাতে ১২ পদের মৌসুমি ফল পরিবেশন করা হয়।
ফলগুলোর মধ্যে ছিল- আম, কাঁঠাল, লিচু, পেঁপে, আনারস, পেয়ারা, আমরুল, লটকন, কলা, ড্রাগন, আমরা, ডেউয়া ও কামরাঙা।
শুধু ফল খাওয়ানোই নয়, এ আয়োজনে তরুণ ভলান্টিয়াররা প্রবীণদের সঙ্গে গল্প করেছেন, তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা শুনেছেন ও কিছুটা সময় পাশে থেকে একাকিত্ব দূর করতে সহায়ক হয়েছেন।
শুভসংঘের সভাপতি জহিরুল ইসলাম বলেন, এই প্রবীণরা আমাদের সমাজের অমূল্য সম্পদ। তাদের মুখে একটুখানি হাসি ফোটাতে পারলে সেটাই আমাদের সার্থকতা।
আয়োজনে অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবক উম্মে হানী বলেন, এই সময়টুকু শুধু তাদের জন্য নয়, আমাদের নিজেদের জন্যও মূল্যবান। আমরা শিখেছি কীভাবে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়া যায়।
৭০ বছরের বৃদ্ধা আব্দুল মোতালেব বলেন, অনেকদিন পর এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে মনটা ভালো হয়ে গেল। এই ফল খেয়ে আর ওদের সঙ্গে গল্প করে মনে হলো—এখনো কেউ আমাদের মনে রাখে।
অনুষ্ঠান শেষে প্রবীণদের মাঝে শুভসংঘের পক্ষ থেকে হাইজিন সামগ্রী এবং প্রয়োজনীয় ওষুধও বিতরণ করা হয়।
এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধাশ্রমে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যেখানে তরুণদের উচ্ছ্বাস আর প্রবীণদের হাসি মিলেমিশে এক আন্তরিক দৃশ্যের জন্ম দেয়।
এসময় সংগঠনটির জেলা সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাংগঠনিক সম্পাদক লিমন সিকদার, ক্রীড়া সম্পাদক নাইমুল ইসলাম শাওন, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মেহেদী হাসান নাবিল, দপ্তর সম্পাদক জাকারিয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে হানি, শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক, সুমাইয়া আক্তার মেঘলা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক চাঁদনী আক্তার, সদস্য রুবাইয়াত হক মেহেদী, গাজী সালাহ উদ্দিন আবিদ, আসাদুল হক, মাসুমা বেবী, মাহফুজা, অন্তু বনিক, আব্দুল্লাহ আল রাকিব, জান্নাতুল, রুকাইয়া, সোনিয়া ও সাইফুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরএ