ঢাকা: আনন্দ, সৃজনশীলতা ও প্রেরণার এক অনন্য সম্মিলন ঘটল রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ইডেন মহিলা কলেজে।
বসুন্ধরা শুভসংঘ ইডেন মহিলা কলেজ শাখার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক উৎসব।
‘সৃজনশীলতার বিকাশে সংস্কৃতি হোক প্রেরণার আলো’-এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) কলেজ প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
কোরআন তেলাওয়াত, কবিতা আবৃত্তি, গান, নাচ, অভিনয় ও আবেগঘন পরিবেশনায় নিজেদের বহুমাত্রিক প্রতিভা প্রদর্শন করেন শুভসংঘের সদস্যরা। অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক বিভাগে সেরা তিন অংশগ্রহণকারীকে বাছাই করা হয়। প্রথম স্থান অর্জন করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাসনোভা তুষিন, দ্বিতীয় স্থান পান সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া সুহা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন সমাজকর্ম বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তিন্নি।
অংশগ্রহণকারী সবাইকে বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়, যা আয়োজনটিকে আরও প্রাণবন্ত ও স্মরণীয় করে তোলে। আয়োজনটিতে অংশ নেন শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তার।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ক্লাস ও পরীক্ষার চাপে মানসিক ক্লান্তি চলে এসেছিল। আজকের এ আয়োজন সেই ক্লান্তি দূর করেছে। এমন উদ্যোগ আমাদের চর্চা ও আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ইতিবাচকভাবে জীবনকে দেখার অনুপ্রেরণা দেয়।
ইডেন মহিলা কলেজ শুভসংঘ শাখার সভাপতি ফারিয়া হক তাজিম বলেন, শুভসংঘ কেবল একটি সংগঠন নয়, এটি ইতিবাচক পরিবর্তনের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম। এ ধরনের সাংস্কৃতিক আয়োজন মেয়েদের অনুপ্রেরণা জোগায়, নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশে সহায়তা করে এবং সবার সামনে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরার সাহস জোগায়। ভবিষ্যতেও আমরা এমন আরও গঠনমূলক আয়োজনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত রাখতে চাই।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাখার সভাপতি ফারিয়া হক তাজিম, মোছা. সাহিদা খাতুন, জান্নাতুল ফেরদৌস, সানজিদা নীলা, ইফফাত সুলতানা, ঋতু ইয়াসমিন বর্ণী, উম্মে মাহফুজা তাবাসসুম, তাসলিমা, পলি আক্তার, রুনা আক্তার, সায়মা জান্নাত, রোমানা আহমেদ, মাকসুরা সরকার অবণি, চুমকি খাতুন, সায়নিকা সায়োন ফারিহা, হাবিবা আক্তার, নূরনাগার খাতুন, রুকাইয়া আক্তার, আখি মনি, নাফিয়া তাসনিম মিশুসহ শাখার সক্রিয় সদস্যরা।
বসুন্ধরা শুভসংঘের এ সাংস্কৃতিক উৎসব ঘিরে শুভসংঘের বন্ধুরা জানান, সংস্কৃতি কেবল বিনোদন নয়, এটি মানবিকতা, সৌন্দর্যবোধ ও ইতিবাচক সমাজগঠনের এক শক্তিশালী মাধ্যম। এ আয়োজন শুধুমাত্র বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; বরং এটি শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ, আত্মপ্রকাশ ও পারস্পরিক বন্ধন দৃঢ় করার এক অনন্য মঞ্চ হয়ে ওঠে।
এসআই