ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

মাঠে শতভাগ দেওয়ার আহ্বান নাবিলের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৯ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
মাঠে শতভাগ দেওয়ার আহ্বান নাবিলের

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে গত ৪ জুন থেকে ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। প্রথম দিনের অনুশীলনে খেলোয়াড়দের মনোবল বাড়াতে মাঠে এসেছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।

খেলোয়াড়দের উৎসাহ যোগাতে আজ ক্যাম্পে খেলোয়াড়দের দেখা করেছেন বাফুফে সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। দলের সঙ্গে সময় কাটিয়েছেন তিনি।

কাজী নাবিল দলের সকলকে মাঠে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন। এবারের সাফ অন্যান্য বারের চাইতে চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে বলে মনে করেন নাবিল। কারণ এবারের সাফে আমন্ত্রিত দুই দেশ অংশগ্রহণ করছে। কুয়েত এবং লেবানন। র‌্যাংকিংয়ে অনেক এগিয়ে তারা। নাবিল বলেন, ‘আমার কাছে জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের অত্যন্ত উজ্জীবিত মনে হলো। তারা মোটিভেটেড আছে। সামনের সাফটা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। এই প্রথম সাফের ভৌগোলিক অবস্থানের বাইরেও দুটো দল এসে খেলবে এখানে, তারা অত্যন্ত শক্তিশালী দল। কেবল আমাদের জন্যই না, সাফের অন্য সব দলের জন্যও চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে। ’

‘আমার মেসেজ হলো মাঠের খেলাটা ৯০ মিনিট, এই পুরোটা সময় ধরে যেন ১০০ভাগ তারা দেয়। পুরো জাতি তাদের দিকে তাকিয়ে। তারা ঘরোয়া লিগের খ্যাতিমান খেলোয়াড়, জাতীয় দলের হয়ে যখন মাঠে নামে, জার্সিটা পরে, তখন কিন্তু তারা পুরো দেশের আশা আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। সেই দায়িত্ববোধ থেকে তাদের বললাম মাঠে আরও বেশি দেওয়ার জন্য। ’ যোগ করেন তিনি।

এবারের সাফে পাকিস্তানের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। তবে বিষয়ে চিন্তিত নন নাবিল। নিজেদের খেলাটা নিয়েই ভাবার পরামর্শ তার। তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের এনওসি পেয়েছি। আমি নিজেই হাই কমিশনে যোগাযোগ করছি আমাদের ভিসাটা ত্বরান্বিত করার জন্য। আমার নিজের লেভেলেই সর্বোচ্চ পর্যায়ে যোগাযোগ করছি। আমি একটু আগেও সেখানে মেসেজ দিয়েছি ভিসাটা তাড়াতাড়ি দেওয়ার জন্য।  পাকিস্তান যদি না পায়, তাহলে ফরম্যাটে চেঞ্জ হয়ে যাবে, নতুন ডাইনামিকস যোগ হবে। আমরা আমাদের দিকেই নজরটা রাখি। আমাদের খেলাটাকেই ভালোমতো করার চেষ্টা করি। ’

গত এক দশকের বেশী সময়ে শেষ মুহূর্তের গোলে কপাল পুড়ছে বাংলাদেশের। গোলে করে এগিয়ে থাকলেও কিংবা সমতায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত শেষ মুহূর্তে গোল হজম করে বিদায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। এবারের সাফে সেই দিকে দলকে নজর দিতে বলেছেন নাবিল। তিনি বলেন, ‘গত পাঁচ-দশ বছর ধরেই এমন হচ্ছে। নেপালে ভারতের বিপক্ষেও ২০১৩ সালে আমরা এগিয়ে ছিলাম। শেষ পাঁচ সেকেন্ডের গোল হজম করে ম্যাচটা ড্র করেছিলাম। আমি খেলোয়াড়দের বলেছিলাম, খেলা কিন্তু ৯০ মিনিট না, খেলা কিন্তু অ্যাভারেজে ৯২ থেকে ৯৬ মিনিটেই। তখনই কিন্তু আমাদের মনোযোগটা সবচেয়ে বেশি দেওয়া দরকার। খেয়াল রাখতে হয় যেন পরিস্থিতিটা বদলে না যায়। মূলত খেলোয়াড়দের দুটো বিষয় লাগে মানসিক মনোযোগটা, আর ফিটনেস। তখন খেলাটা ধরে রাখতে হয়। এক্ষেত্রে কোচিং স্টাফদের দায়িত্বটা বেশি। খেলোয়াড়দের সেভাবে তৈরি করতে, যেন তখন তাদের সেরাটা খেলোয়াড়রা দিতে পারে। ওটা আমাদের জন্য ক্রুশাল একটা সময়। সেটার রিফ্লেকশন আমাদের ক্লাবে হচ্ছে। কিন্তু ক্লাবে তো ডোমেস্টিক, কোনো না কোনো দল জিতবেই, সেজন্যে সেটা আলোচিত হয় না। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, ০৭ জুন, ২০২৩
এআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।