শেষ ওভারে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের প্রয়োজন ছিল ১৩ রান। প্রথম বলে উইকেটও পেয়ে যান খালেদ আহমেদ।
ম্যাচও হাতছাড়া হয় বরিশালের কাছ থেকে। ফিল্ডিং অনুযায়ী বল না করায় কড়া প্রতিক্রিয়া দেখান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এ নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা তৈরি হয়। তবে এমন কিছুকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন খালেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে দুর্দান্ত বল করেন তিনি।
এরপর এই পেসার বলেন, ‘আমার পরিকল্পনা ছিল আমি যেহেতু ফিল্ড সেট আপ ওইদিকে (লেগ সাইডে) করেছি, ব্যাটার তৈরি থাকবে ওইদিকে মারার জন্য। আমি ওরে ব্লাফ দেওয়ার জন্য এই বলগুলো করছিলাম। সামহাউ হয় নাই, লাইগা গেছে ভালো; ওর দিন ছিল। ’
তামিমের ধমক প্রসঙ্গে খালেদ বলেন, ‘আমি ওরকমভাবে চিন্তা করি না। আমাকে বড় ভাইরা ঝাড়ি দিতে পারে। মাঠের মধ্যে সবাই সমান এখানে। বড় ভাই ঝাড়ি দিছে আমি কিছু মনে করি নাই। পরে আবার এসে বলছে এরকম করতে হবে, এরকম করলে হবে না। ’
ওই ম্যাচের পর একাদশ থেকে ছিটকে যান খালেদ। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ফিরে ৪ ওভারে দিয়েছেন কেবল ২৯ রান। এমন দারুণ বোলিংয়ের আগে কী করেছিলেন? খালেদ জানিয়েছেন বড় ভাইদের পরামর্শের কথা।
তিনি বলেন, ‘শেষ ম্যাচ ভালো যায়নি এটা না। শেষ ম্যাচটা দেখেন আমি তিন ওভার ভালো করেছি, শেষ ম্যাচটা ৫০-৫০ ছিল; হয়তো ব্যাটারের দিকে চলে গেছে। আমার পরিকল্পনায় হয়তো কিছু ভুল ছিল। শেষ ম্যাচ যেহেতু বিশ্রাম পেয়েছি, আমার চিন্তা করার সময় পেয়েছি। বড় ভাইদের সঙ্গে কথা বলছি আমার ফিল্ড সেট আপ কেমন হলে ভালো হয়। উনারা আমাকে একটা ডিরেকশন দিয়েছে, ওই ওয়েতে আমি অনুশীলন করেছি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
এমএইচবি