ঢাকা: বাংলাদেশ লিগে ষষ্ঠ পর্বের খেলায় শেখ রাসেলকে ক্রীড়া চক্রকে রুখে দেয় আরামবাগ ক্রীড়াসংঘ। ১-১ গোলে অমীমাংসিত ম্যাচ শেষ হতেই দুই দল খেলোয়াড়দের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচ শেষে আরামবাগের ঘানা ডিফেন্ডার মোস্তফা কাবা হাত মেলাতে যান প্রতিপক্ষ শেখ রাসেলের মরক্কো খেলোয়াড় চারুত ইউসুফের দিকে। তেতে ছিলেন চারুত। হাত না মিলিয়ে কাবাকে ধাক্কা দিলেই শুরু হয়ে যায় ধুন্ধুমার কান্ড। দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হাতাহাতির বেঁধে যাওয়ার উপক্রম।
খেলা চলাকালে ট্যাকল করা নিয়ে আরামবাগের ডিফেন্ডার কাবা ও রাসেলের স্ট্রাইকার চারুতের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। খেলা শেষে কাবা সৌজন্যমূলক হাত মেলাতে গেলে তার ওপর খেপে যান চারুত।
খেলোয়াড়দের নিবৃত্ত করতে গেলে দীন মোহাম্মদ কোচ লিটনের মুখে হাত দিয়ে সজরে আঘাত করেন। লিটনের চশমা গুঁড়িয়ে যায়। এরপর কাবা লিটনের নাকে ঘুসি বসালে রক্তাক্ত হন তিনি। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে দুই দলের খেলোয়াড়রাই ডাগ আউট ছেড়ে মাঠে প্রবেশ করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে হস্তক্ষেপ করতে হয়।
খেলোয়াড়ের হাতে নাজেহাল হয়ে কোচ লিটন প্রতিপক্ষের কর্মকর্তাদের কাছে বিচার চাইতে যান। সেখানেও দুই দলের কর্মকর্তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়।
ঘটনার জন্য কোচ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে বিচার দাবি করে বলেন,“খেলোয়াড় কর্তৃক কোচের গায়ে হাত দেওয়ার ঘটনাটি বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটির দেখা উচিত। ”
তবে বিষয়টিকে ফুটবলের উত্তেজনা হিসেবেই দেখছেন আরামবাগ কোচ লিটন মোল্লা.“এটা একটা দুর্ঘটনা। ফুটবলে খেলোয়াড়দের উত্তেজিত হয়ে পড়া স্বাভাবিক বিষয়। ”
এর আগে নিষ্প্রাণ ম্যাচে ৪৩ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় আরামবাগ। খান শরীফের ক্রসে আরামবাগের গিনি খেলোয়াড় বাঙ্গুরা হেডে নিশানা ভেদ করেন। শেখ রাসেলকেও সমতায় ফেরান চারুত ইউসুফ। ৫২ মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে ইউসুফের শট সাইডপোস্টে লেগে ফেরার মুহূর্তে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা চারুত টোকা দিলে বল জালে জড়িয়ে যায়। বাকি সময়ে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি আক্রমণ হলেও কোনো দলই ব্যবধান তৈরি করতে পারেনি।
৬ ম্যাচ শেষে শেখ রাসেলের সংগ্রহ ১১ পয়েন্ট। তিন জয় ও দুই ম্যাচে ড্র করেছে তারা। অন্যদিকে তিন ড্র ও এক জয় দিয়ে আরামবাগের তুলেছে ৬ পয়েন্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৫ ঘন্টা, ২০১১