ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

উদ্বোধনী ম্যাচেই পরাজিত বাংলাদেশ!

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০১৫
উদ্বোধনী ম্যাচেই পরাজিত বাংলাদেশ! ছবি: শেখ নাসির/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ইয়াসির উবাইদ, সিলেট থেকে: ম্যাচ শুরুর আগেই চমক ছিল, বাফুফে সভাপতি ঘোষণা দিয়েছিলেন মালয়েশিয়ার বিপক্ষে জিতলেই ৩০ লাখ টাকা পুরস্কারের। একটি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে জয়কে কেন এত বেশি গুরুত্বপূর্ন মনে করছেন বাফুফে সভাপতি তার কারণ বোঝা গেল ম্যাচ শেষে! বাংলাদেশ-০, মালয়েশিয়া-১।



কিসের অভাব বাংলাদেশ দলে? কেন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের মতো একটি আয়োজনে ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই পরাজিত লাল-সবুজের জার্সিধারীরা? মোটা দাগে বলতে গেলে একজন ফিনিসারের অভাব লক্ষ্য করা গেছে পুরো ম্যাচ জুড়ে। বল ঠিকই যাচ্ছে ডি বক্সে কিন্তু জালের ঠিকানা পাচ্ছেনা।  

ম্যাচের প্রথমেই আক্রমণে যায় মালয়েশিয়া, তবে কোন সাফল্য ছিলনা। আর ৫ মিনিটে প্রথম আক্রমণে যায় বাংলাদেশ দল। তবে ম্যাচের ৮ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে চোরা পাসকে কাজে লাগিয়ে বল পেয়ে যায় জাহিদ হোসেন এমিলি। কিন্তু তিনি বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন। ফলে সহজ সুয়োগ মিস হয়ে যায় বাংলাদেশের।

২৫ মিনিটে দ্বিতীয় সুযোগ পায় জাহিদ হোসেন এমিলি। জাহিদের নিচু শটে পা ছোঁয়ালেই ডি বক্সের মধ্যে থাকা এমিলি গোল পেতে পারত। কিন্তু এবারও সুযোগ হাতছাড়া।

২৫ মিনিটে এমিলির হ্যাটট্রিক মিস। ডি বক্সের মধ্যে জাহিদ হোসেনের বাড়িয়ে দেয়া বলটি বারের উপর দিয়ে মারেন এমিলি।

তবে এদিক দিয়ে এগিয়ে ছিল সফরকারি মালয়েশিয়া অনূর্ধ্ব-২৩ দলটি। তিনবার আক্রমণে যায় দলটি আর তিনবারই বাংলাদেশের বার ছুঁয়ে যায় তাদের শট। অগোছানো খেলার সর্বোচ্চ নিদর্শন প্রদর্শন করে যাচ্ছিল বাংলাদেশ দল। ম্যাচ দেখে বোঝার উপায় ছিলনা একটি অনূর্ধ্ব-২৩ দলের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ।  

৪৪ মিনিটে আবারো সুযোগ পায় বাংলাদেশ দল। তবে এবার অফসাইডের জালে পা বাড়ায় বাংলাদেশ। তবে প্রথমার্ধের অন্তিম সময়ে একটি কর্নার পায় বাংলাদেশ। জটলা থেকে গোলের একাধিক সুযোগ থাকা সত্বেও গোল পায়নি লোডভিক ক্রুইফের শিষ্যরা। ফলে প্রথমার্ধ শেষে গোল শূন্য থেকেই বিরতিতে যায় দলটি।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের ৫০ মিনিটের মাথায় মো: সাফোয়ানের গোলে এগিয়ে যায় মালয়েশিয়া। ফলে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এরপর গোল মিসের মহড়ায় নামে বাংলাদেশ। একে একে জাহিদ ও মামুনুল মোট তিনবার আক্রমণে যায়। কিন্তু খালি হাতেই ফিরতে হয় তাদের। গোল, বল আর জালের সমন্বয় সাধনে ব্যর্থ হয় স্বাগতিকরা।

৬৫ মিনিটে দলে প্রথম পরিবর্তন আনে বাংলাদেশ। সোহেল রানার বদলে মাঠে নামে ওয়াহেদ আহমেদ। কিন্তু প্রত্যাশিত গোলের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। আর ৮০ মিনিটে আবারো দলে পরিবর্তন আনেন কোচ। ডিফেন্ডার ইয়ামিনের বদলে মাঠে নামে শাখওয়াত রনি।

তবে ৮১ মিনিটে শাখওয়াত রনির পায়ে জয়ের স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশ। জাহিদ হোসেনের বাড়িয়ে দেয়া বলে শট করেন রনি, কিন্তু বলটি বারে লেগে ফিরে আসে। সেই সাথে ফিরে আসে বাংলাদেশ দলের জয়ের স্বপ্ন।  

আর অন্তিম মুহূর্তে দুটি কর্নার পায় বাংলাদেশ, কিন্তু কোন গোল নয়। মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়ে লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।