ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

খেলা

সেমিফাইনালে বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল স্বাগতিক বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ হেমন্তের একমাত্র গোলে জয় নিয়ে সেমির টিকিট নিশ্চিত করল।



প্রথমার্ধের ৪০ মিনিটের মাথায় হেমন্ত ভিনসেন্টের একমাত্র গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ। বিরতির পরে ম্যাচের ৫৩ মিনিটে আবারো হেমন্ত জোড়ালো শট নিয়েছিলেন। তবে দশ নম্বর জার্সি পরিহিত হেমন্তের সে শটটি লংকান গোলরক্ষক পেরেরা প্রতিহত করেন।

খেলার ৬৪ মিনিটের মাথায় বাংলাদেশের দুই নম্বর জার্সি পরিহিত রায়হানের দূর পাল্লার একটি শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়। পরের মিনিটে লংকানদের একটি কাউন্টার অ্যাটাক প্রতিহত করেন স্বাগতিক গোলরক্ষক সোহেল। তবে, ম্যাচের ৬৬ মিনিটে সোহেল প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারকে ফাউল করায় হলুদ কার্ড দেখেন। ফলে পেনাল্টি পায় লংকানরা।

তবে, সোহেল তার অসাধারণ পারফর্ম দেখিয়ে পেনাল্টি শট রুখে দেন। পাল্টা হেড করে লংকানরা আবারো গোল করতে চাইলে সেটিও চমৎকার ভাবে রুখে দেন সোহেল। অবধারিত গোলের সুযোগ নষ্ট করে শ্রীলঙ্কা।

ম্যাচের ৮৪ মিনিটে হেমন্তের আবারো একটি প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। দারুণ ড্রিবলিং করে পেরেরাকে ফাঁকি দিতে পারলেও শেষ মুহূর্তে এক লংকান ফুটবলার তা রুখে দেন। ফলে, নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোলের সুযোগ নষ্ট হয় হেমন্তের। এর দুই মিনিট পরেই আবারো গোল আদায় করতে পারেনি স্বাগতিকরা। এবারে লংকানদের ডিফেন্সে বাধা পায় বাংলাদেশের শট। জামাল ভূইয়ার একটি শট গোলবারের সাইড জালে জড়িয়ে যায়।

ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঘরের মাঠে খেলতে নামা বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে উঠতে হলে স্বাগতিক বাংলাদেশের শুধু ড্র করলেই চলবে। এমন সহজ সমীকরণ নিয়ে মাঠে নেমেছে মামুনুল ইসলামের দল। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামেন শহীদুল ইউসুফ সোহেল, রায়হান হাসান, ইয়াসিন খান, নাসির, ইয়ামিন মুন্না, জামাল ভুইয়া, মামুনুল ইসলাম, হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস, সোহেল রানা, জাহিদ হোসেন ও জাহিদ হাসান এমিলি।

এর আগে ম্যাচের প্রথম ১০ মিনিটের মাথায় গোলবারে শট নেয় জাহিদ হাসান এমিলি। তবে, তার শটটি দুর্বল হওয়ায় লংকান গোলরক্ষককে কোনো বেগ পেতে হয়নি। এ সময় ৬৯ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রন বাংলাদেশের পক্ষেই ছিল। জাহিদের একটি দারুণ আক্রমণে আবারো গোলের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল বাংলাদেশ। তার নেওয়া ২১ মিনিটের জোড়ালো শটটি লংকানদের গোলবারের উপর দিয়ে চলে যায়।

প্রথমার্ধের ৩২ মিনিটে লম্বা থ্রো থেকে বল পান বাংলাদেশের ফুটবলাররা। তবে, নিজেদের দুর্বলতা আবারো জানান দেন লোডভিক ডি ক্রুইফের শিষ্যরা। ম্যাচের ৩৭তম মিনিটে একটি সংঘবদ্ধ আক্রমণ চালালেও ভালো ফিনিশারের অভাবে গোলের দেখা পায়নি লাল-সবুজরা।

ম্যাচের ৪০ মিনিটে হেমন্তের ডানপায়ের জোড়ালো শটে গোল পায় বাংলাদেশ। ৪০ মিনিটে সোহেল রানার চোরা পাস এমিলির উদ্দেশ্যে। আর এমিলি বলটি প্লেস করে দেয় হেমন্ত ভিনসেন্টকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে দৃষ্টি নন্দন পাসে গোল করেন হেমন্ত।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে আরেকটি গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে ডি ক্রুইফ শিষ্যরা। ম্যাচের বাকি সময়ে আর কোনো গোল না হলে ১-০ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল-সবুজরা।

ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৬৫ এবং শ্রীলঙ্কা আছে ১৭২ অবস্থানে। এ আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে উভয় দলই মালয়েশিয়ার কাছে হার দিয়ে শুরু করে।

বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে ০-১ গোলে পরাজিত হয়। আর শ্রীলঙ্কা নিজেদের প্রথম ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলে পরাজিত হয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করে।

এ পর্যন্ত বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে। বাংলাদেশের জয় ৯টিতে আর ৩টি ম্যাচ জিতেছে লংকানরা। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।